শেষ আপডেট: 30th September 2024 14:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মালদহ: মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে সাপের ছোবল খেয়েছিলেন ১৮ বছরের তরুণ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বদলে বাড়ির লোকজন তাঁকে নিয়ে গেছিলেন ওঝার কাছে। ঝাড়ফুঁক চলার পরে মৃত্যু হল ওই তরুণের। কুসংস্কারের অন্ধকার থেকে এখন পুরোপুরি মুক্ত হয়নি সমাজ, এই ঘটনা তারই এক উদাহরণ। সচেতনতামূলক প্রচার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তরুণের নাম দেবদাস হেমব্রম। তাঁর বাড়ি মালদহের বামনগোলা ব্লকের নিমডাঙা গ্রামে। শুক্রবার ওই তরুণ মাঠে ঘাস কাটতে গেছিলেন। সেখানে একটি বিষধর সাপ ছোবল মারে। আত্মীয়রা ওই তরুণকে ওঝার কাছে নিয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ সেখানে চলে ঝাড়-ফুঁক। শনিবার বিকেলে মৃত্যু হয় তাঁর।
মৃতের দাদা বিশ্বনাথ হেমব্রম বলেন, "শুক্রবার ভাই মাঠে ঘাস কাটতে গেছিল। সেখানে ভাইকে সাপে ছোবল মারে। কবিরাজের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরে ভাই খানিক সুস্থ হয়। শনিবার সকালে ভাইয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ক্রমাগত ঘামতে থাকে। গ্রামীণ চিকিৎসদের কাছে নিয়ে গেলে ভাইয়ের রক্তচাপ অনেক বেড়ে গেছে। এরপরেই আমরা ভাইকে বুলবুলচণ্ডী আরএন রায় হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে তাকে মালদা মেডিক্যালে রেফার করা হয়। মালদহ হাসপাতালে ডাক্তারবাবুরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।"
বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা জানিয়েছেন, গ্রাম মানুষ সাপে কাটাকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে এখনও ওঝা কাছে নিয়ে যান। এতেই বিপদ ঘটে। ফলে সচেতনতার অভাব থেকে যাচ্ছে। গ্রামে গঞ্জে মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক করে তুলতে আরও বেশি সচেতনতা প্রচার বাড়াতে হবে।