শেষ আপডেট: 23rd October 2024 17:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মালদহ: গ্রামের অধিকাংশ মানুষ সামাজিত বিয়েতেই বিশ্বাসী। তাই আইনসম্মত বিয়ের জন্য রেজিস্ট্রি প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করেন না। কিন্তু এই ধ্যানধারণা যে কতটা বিপাকে ফেলতে পারে তা হয়ত টের পাচ্ছেন ইংরেজবাজারের এলাকায় যুবতী। এখন স্ত্রীর মর্যাদা পেতে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে তাঁকে।
ইংরেজবাজার থানার একটি গ্রামের যুবতীর বাড়ি ৷ বছর তিরিশের ওই যুবতীর দাবি, ২০১৫ সালে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর সামাজিক মতে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু আইনসম্মত ভাবে তাঁদের বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়নি। বিয়ে সাত বছর কেটে যাওয়ার পরে তাঁর সন্তান হয়নি। ফলে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে তাঁর অশান্তি লেগেই থাকত। স্বামীকে শারীরিক পরীক্ষা করানোর জন্য বোঝানোর চেষ্টা করেও কোনওভাব হয়নি। সন্তান না হওয়ার জন্য তাঁকেই দোষী করতে থাকেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন।
যুবতীর কথায়, "গত দুবছরে বহুবার শ্বশুরবাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওরা আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। এনিয়ে গ্রামে সালিশি সভাও বসানো হয়। তবে ওরা সভায় হাজির হয়নি।" তিনি শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। এখন স্ত্রী হিসাবে মানতেই অস্বীকার করছেন স্বামী। মহিলা বলেন, "ওনি বলছেন, তাঁর সঙ্গে আমার নাকি বিয়েই হয়নি। আমাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়নি ৷ কিন্তু আমাদের যে সামাজিক মতে বিয়ে হয়েছিল, গোটা গ্রাম তার সাক্ষী আছে ৷ অসংখ্য প্রমাণ আমার কাছে আছে ৷"
ওই যুবতীর আইনজীবী দিলীপ ঘোষের দাবি, ওই যুবতীর আদালতের মাধ্যমে অবশ্যই নিজের অধিকার ফিরে পাবেন ৷ তাঁরা যে স্বামী-স্ত্রী, তার বহু প্রমাণ রয়েছে। প্রয়োজনে সেসব আদালতে পেশ করা হবে।
অভিযোগকারিণীর মায়ের দাবি, "শুনেছি, জামাই এখন অন্য যুবতীর সঙ্গে প্রেম করছে। তাকেই নাকি বিয়ে করবে। তাই আমার মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।"