শেষ আপডেট: 16th October 2024 12:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মালদহ: মালদহে দুই হাসপাতালে উত্তেজনা। ক্ষোভ উগরে পড়ল রোগী পরিবারের। প্রথম ঘটনাটি ঘটে পুরাতন মালদহের মৌলপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। চার বছরের এক শিশুকে নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন অভিভাবকরা। অভিযোগ, সেখানে এক চিকিৎসক শিশুটিকে ভর্তি করিয়ে নেন। কিন্তু অপর এক চিকিৎসক ওই শিশুটিকে রেফার করে দেন। তাই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন পরিবারের লোকজন। কর্তব্যরত চিকিৎসকের মারধর ও গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। উল্টো দিকে রোগী পরিবার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠল।
শিশুর এক আত্মীয়র অভিযোগ, তিন-চার দিন ধরে শিশুটি জ্বরে ভুগছিল। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হলে এক ডাক্তারবাবু তাকে সেখানে ভর্তি করে নেন। পরে অন্য এক ডাক্তার শিশুকে পরীক্ষা করতে গেলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন। ওই শিশুকে কে ভর্তি করিয়েছে তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারপরে রিপোর্ট নিয়ে পরিবারের লোকজনকে বাড়ি চলে যেতে বলেন। তিনি ওই শিশুকে অন্য হাসপাতালে রেফার করে দেন।
একই সঙ্গে ভুল চিকিৎসায় রোগীমৃত্যুর অভিযোগে তেতে ওঠে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল। এতেই বিক্ষোভ দেখান রোগীর পরিজনেরা। মৃতের নাম শফিকুল ইসলাম (৩৫)। তিনি থানার বড়বাগান এলাকার বাসিন্দা। মঙ্গলবার গভীর রাতে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে তাঁর। পরিবারের লোকজন শফিকুলকে চিকিৎসার জন্য মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
এরপরেই কর্তব্যরত ডাক্তারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রোগীর আত্মীয়রা। তাঁরা অভিযোগ করতে থাকেন ভুল চিকিৎসার ফলেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। শুরু হয় বচসা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন রোগীর পরিবার।
শেষমেশ দুটি ঘটনায় পুলিশকে ঘটনাস্থলে ডেকে পাঠানোর হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রোগীর ভাইয়ের অভিযোগ, চিকিৎসকের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে দাদার। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধেয় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে দফায় দফায় তেতে ওঠে আসানসোল জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। ও সুপারের চেম্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখান। আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্ণপুরের রাধানগর রোডের বাসিন্দা মৃত রোগীর নাম সুরজ রুইদাস (১৮)। পরিবার মৃত কিশোরের ডেথ সার্টিফিকেট নিতে চাইছিল না। মৃতের আত্মীয়দের দাবি, যে চিকিৎসকের সুরজকে পরীক্ষা করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান। কি কারণে রোগীর মৃত্যু হল সেবিষয়ে জানতে চান। শেষ পর্যন্ত সুপারের কাছে তারা ময়নাতদন্তের দাবি করেন। সেই মতো সুপার ময়নাতদন্তের করার সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে বলেন। এরপর সন্ধে ৭টা নাগাদ রোগীর চিকিৎসা করা চিকিৎসক ডাঃ সোমনাথ গুপ্ত হাসপাতালে এসে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য লিখিত নির্দেশ দেন। সেই মতো তা আসানসোল দক্ষিণ থানায় জানানো হয়।