শেষ আপডেট: 2nd November 2024 19:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মালদহ: কালীপুজোর পরের দিন সকালে মালদহের গাজোলে পাওয়া গেল মুণ্ডহীন দেহ। সেই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের মধ্যে একজন কংগ্রেস সভাপতির ছেলে ও তাঁর গাড়ির চালক।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সৌম্যজিৎ সরকার (২২), ফারুক (২৮), আশীস চৌধুরী (১৯)। এদের মধ্যে সৌম্যজিৎ মালদহ জেলা কংগ্রেস সভাপতি শেফালি সরকারের ছেলে। ফারুক তাঁর গাড়ির চালক। আশিস সৌম্যজিতের বন্ধু।
শুক্রবার মণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে একটি পুকুর পাড় থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি খুঁজে পায় পুলিশ। গাড়িতে ছিল রক্তের দাগ। গাড়ির বাঁ দিকে অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেছিল। গাড়ি নম্বর যাচাই করেন তদন্তকারীরা। সেখানে থেকে তারা জানতে পারেন গাড়ি জেলা কংগ্রেস নেত্রী শেফালি সরকারের।
এরপরেই শেফালিদেবী জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন গাড়িটি চালায় ফারুক নামে এক যুবক। সেদিন রাতে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিল সে। দেহ উদ্ধারের সঙ্গে এই দুর্ঘটনার কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা তাই নিয়ে ফারুককে আটক করে জেরা শুরু করে পুলিশ।
ফারুক তদন্তকারীদের জানিয়েছিল, শেফালি সরকারের ছেলে সৌম্যজিৎ ওই দিন গাড়ির চাবি নিয়ে বেরিয়েছিল। সে বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েছিল। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে ছিল সৌম্যজিৎ ও তার বন্ধু আশিস। গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে আশিস আহত হয়। তাকে গাজোল হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
ফারুকের বয়ানের সূত্র ধরে গাজোল হাসপাতালে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেখানে গিয়ে জানতে পারে আশিসকে কালীপুজোর রাতে চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসা হয়নি।
এর মধ্যে পুলিশের আরও এক টিম মৃতের পরিচয় জানতে পারে। জানা যায়, মৃত ওই ব্যক্তির নাম কৃষ্ণপদ রায়। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেলবাড়ি এলাকার অধিকারী পাড়ায়। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। বুধবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরে সংবাদ মাধ্যমের খবর দেখার পরে আত্মীয়রা গাজোল থানায় খোঁজ নেন। মৃতদেহ পাওয়ার জন্য থানায় লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে পরিবারের তরফে।
পরিবারের সদস্যদের অনুমান, এই ঘটনা দুর্ঘটনা নয়, খুন। যদিও পুলিশের অনুমান, ওই দুর্ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনা যোগসূত্র রয়েছে। তাই এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।