শেষ আপডেট: 11th January 2021 12:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বয়স মাত্র চার বছর। এই বয়সেই সে গড়গড়িয়ে বলে দিতে পারে ফুল, ফল, দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নাম। তার বয়স যখন মাত্র এক বছর, সেই সময় সে চিনতে পারত কোনটা কী রঙ। এত কিছু করতে পারার স্বীকৃতি হিসেবে তার নাম উঠেছে 'ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস'-এ। সে বছর চারেকের অগ্নিভ পান্ডে৷ ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরের বাসিন্দা। ছেলে এই স্বীকৃতি পাওয়ায়, এই ভাবে গোপীবল্লভপুরের নাম উজ্জ্বল করায় উচ্ছ্বসিত তার বাবা-মা। অগ্নিভর এই সম্মানে গর্বিত এলাকাবাসী ।
এখন কেজি ওয়ানে পড়ে অগ্নিভ। তার বাবা সুমন পান্ডে জানান, মাত্র এক বছর বয়সেই অগ্নিভ চিনতে পারত ১২টি রঙ। তিন বছর বয়সে তাকে ভর্তি করা হয়েছে স্কুলে। যে বয়সে সাধারণত অক্ষরজ্ঞান হয় না, সেই বয়সে এই ছেলে বলে দিতে পারে অনেকগুলো যানবাহন, সবজি, বিভিন্ন আকার, পশু, পতঙ্গ, দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের নাম । বলে দিতে পারে ইংরেজি ছড়া, বড় বড় সংখ্যা।
সুমন পান্ডে জানান, 'ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস'-এ ছেলের এই প্রতিভার কথা জানিয়ে মেল করার পরে তারা একটা ফর্ম পাঠায় । সেটা ভর্তি করে পাঠানোর পর ছেলের প্রতিভা ও কী কী বলতে পারে তার কুড়িটি ভিডিও পাঠাতে বলে। সব কিছু পাঠানোর পরে তাঁদের জানানো হয় যে ছেলের নাম উঠেছে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস-এ।
১২টি যানবাহন, ১৫টি শাকসব্জি, ১০টি আকৃতি, ৩২টি পশুপাখি, ১৬টি ফল, দেহের ২১টি অঙ্গপ্রতঙ্গ সহ আরও ১৩টি বিষয়ে পারদর্শী হওয়ার জন্য তাঁকে এই সম্মানে সম্মানিত করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এই খুদের প্রতিভাকে স্বীকৃতি জানিয়ে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস-এর পক্ষ থেকে একটি সার্টিফিকেট, একটি কলম, একটি ব্যাজ, একটি পদক এবং একটি বই দেওয়া হয়েছে।
আগামীকাল, মঙ্গলবার অগ্নিভর জন্মদিন। তার আগেই এই সার্টিফিকেট ও পদক চলে আসায় বাড়তি আনন্দ পান্ডে পরিবারে। সুমন ও তাঁর স্ত্রী দেবযানী পান্ডে চান, এখন নিজের মতো করে বড় হোক অগ্নিভ। বড় মানুষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও উজ্জ্বল করুক গোপীবল্লভপুরের নাম ।