শেষ আপডেট: 3rd June 2023 03:21
লক্ষ্মণ শেঠ আবার বিয়ে করেছেন! হলদিয়ার একদা সম্রাটের নতুন সঙ্গিনীর ছবি দেখুন
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রায় সাত বছর একাকী জীবন কাটানোর পর দ্বিতীয় বার বিয়ে করলেন হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের একদা সম্রাট, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ (Laxman Seth)। মঙ্গলবার জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস (marriage) শুরু করেছেন তিনি। নতুন বৌয়ের সঙ্গে তাঁর ছবি ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে। তবে স্ত্রী'র পরিচয় এখনই প্রকাশ্যে আনেননি লক্ষ্মণ।
লক্ষ্মণের ছেলে বিস্ফোরক: দেড় মাসের আলাপে বাবা বিয়ে করে নিল, আমরা অবাক
বর্তমানে হাত শিবিরে থাকা এই নেতা জানিয়েছেন, কিছুদিন পরেই নিজের এলাকায় বড় করে বৌভাতের অনুষ্ঠান আয়োজন করবেন। সেদিনই স্ত্রী'র পরিচয় সবাইকে জানাবেন (Laxman Seth marriage again)।
বর্তমানে লক্ষ্মণ শেঠের বয়স ৭৭ বছর। এই বয়সে বিয়ে করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই কটাক্ষ করেছেন তাঁকে। তবে অনেকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। সে বিষয়ে লক্ষ্মণ বলেন, "আমি বিয়ে করেছি। নিজের ইচ্ছায় করেছি। তবে এখনও রিসেপশনের তারিখ ঠিক করিনি। পরে সব জানাব।"

সিপিএম আমলে তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনবার সাংসদ হয়েছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। ২০০৯ সালে যখন বামদুর্গ ভাঙনের শুরু, সেসময় লোকসভা ভোটে এই প্রাক্তন সিপিএম সাংসদকে হারিয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপর ২০১৪ সালে লক্ষ্মণ শেঠকে বহিষ্কার করে সিপিএম। এরপর নিজেই একটি দল গঠন করেন। যদিও সেই দল ছেড়ে লক্ষ্মণ বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৮ সালে গেরুয়া শিবিরও তাঁকে বহিষ্কার করে দেয়। শেষে ২০১৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। এখন সে দলেই রয়েছেন।
লক্ষ্মণ স্ত্রীকে নিয়ে নিজের বাড়িতেই ঢুকতে পারেননি এখনও, বললেন, ‘বাইরের লোক না ভাবলেও চলবে’
১৯৭৯ সালে লক্ষ্মণ শেঠ বিয়ে করেছিলেন তমালিকা পান্ডাকে। এরপর থেকে প্রায় সর্বক্ষণ স্বামীর পাশে পাশেই থাকতেন তমালিকা। একসঙ্গে বাম রাজনীতিও করেছেন। লক্ষ্মণের বহু সুখ-দুঃখের সঙ্গীও ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে স্বামীকে সিপিএম বহিষ্কারের পর দল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তমালিকাও।
তমালিকা ছিলেন অবিভক্ত মেদিনীপুরের সিপিএম নেতা সুকুমার সেনগুপ্তর পালিতা কন্যা। যাঁর নামে এখন নিমতৌরিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সিপিএমের দফতর। তমালিকা এবং লক্ষ্মণ থাকতেন হলদিয়া জোনাল পার্টি অফিসে। তবে তাঁদের সেই ফ্লোর দেখলে বোঝার উপায় ছিল না সেটা কমিউনিস্ট পার্টির অফিস নাকি রাজপ্রাসাদ।

এগারো সালে বাম সরকার পতনের পর হলদিয়া পুরসভা নির্বাচনে জিতেছিল বামেরা। চেয়ারম্যান হয়েছিলেন তমালিকা। তবে দু'জনের একসঙ্গে পথচলা শেষ হয় ২০১৬ সালে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় মৃত্যু হয় তমালিকার। তাঁর মৃত্যুর পরেই হলদিয়া ডেন্টাল কলেজ নিয়ে সিআইডি তদন্ত, লক্ষ্মণের গ্রেফতার এবং পার্টি থেকে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য, প্রথম পক্ষের দুই ছেলেও রয়েছে লক্ষ্মণ শেঠের। এবার সেই পরিবারেই নতুন সদস্য নিয়ে এলেন অধুনা হাত শিবিরের নেতা।
কালীঘাটের কাকু গ্রেফতার, বেরিয়ে আর আত্মবিশ্বাস দেখানো হল না