শেষ আপডেট: 14th June 2023 12:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো, ঝাড়গ্রাম: কুড়মি গ্রামে গিয়ে মহিলাদের ঘাড়ধাক্কা খেলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এমন ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় ঝাড়গ্রামে দোরখুলি গ্রামে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এদিন সকালে দলবল সঙ্গে নিয়ে গ্রামে তাণ্ডব চালান রাধানগর অঞ্চলের সভাপতি বিদ্যুৎ ঘোষ। কুড়মিদের পতাকা মাটিতে ফেলে দেন। গ্রামবাসীদের গুলি করে খুন করার হুমকি দেন।
জানা গিয়েছে, ওই সময়েই তাদের আটকাতে তেড়ে যান গ্রামের মহিলারা। তৃণমূলের ওই অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর দলবলকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে গ্রাম থেকে বের করে দেন। এরপর গ্রামে বাইরে ওই তৃণমূল নেতাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অশান্তির খবর পেয়েই অঞ্চল সভাপতিকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালেও চিঁড়ে ভেজেনি। উল্টে কুড়মিদের পতাকা অবমাননার অভিযোগে অশান্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পরে পুলিশ পতাকা তুলে দেওয়ার আশ্বাস দিলে, গ্রামবাসীরা ওই বিদ্যুৎ ঘোষ ও তাঁর দলবলকে ছেড়ে দেয়। পরিস্থিতি সামলাতে গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই তৃণমূলের হয়ে তাদের কেউ লড়াই করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল আদিবাসী কুড়মি সমাজ। এমনকী কোনও রাজনৈতিক দলের জন্য কুড়মিদের বাড়ির দেওয়ালও ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছিল তারা। ফলে কুড়মি অধ্যুষিত গ্রামগুলি থেকে প্রার্থী পাচ্ছে না তৃণমূল। তাই অন্যান্য আদিবাসী সমাজ থেকে প্রার্থী দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে বলেই বিরোধীদের দাবি।
দোরখুলি গ্রামের ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা সবর। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সোনালী মূর্মূ জানান, 'এখন যাঁরা তৃণমূলে রয়েছেন, আগে তাঁদের কাছে একটা সাইকেল কেনার পয়সা ছিল না। কিন্তু এখন তাঁরাই স্করপিও চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মানুষের সঙ্গে যারা দুর্নীতি করে, তাদের কেউ ছেড়ে কথা বলবে না।'
যদিও শালতোড়ের বিধায়ক বিরবাহা হাঁসদা বলেন, 'আমরাও শান্তিপূর্ণ ভোট চাই। দলের কেউ যদি হুমকি দিয়ে ভোট করাতে চায়, তাহলে দল তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।'
তৃণমূলকে রুখতে নওসাদের আঁতুরঘরে একজোট আইএসএফ-বাম, জোড়াফুলের দাবি, মমতার সঙ্গেই ফুরফুরা