শেষ আপডেট: 20th July 2023 01:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কুন্তল ঘোষের চিঠির (Kuntal Ghosh Letter) পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) নির্দেশ খারিজ করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এর আগে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট কোনও রক্ষাকবচ দেয়নি অভিষেককে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ৪৮২ ধারায় মামলা দায়ের করতে পারেন অভিষেক। তাই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা করলেন অভিষেক।
ঠিক কী হয়েছিল?
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গত ২৯ মার্চ শহিদ মিনারের সভা থেকে বলেছিলেন, হেফাজতে মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল সিবিআই। সেইজন্য চাপও দেওয়া হয়েছিল।
অভিষেকের দাবির পরেই বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ নিম্ন আদালতের বিচারক ও হেস্টিংস থানাকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁকে চাপ দিচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেওয়ার জন্য।
এর পরেই ৬ এপ্রিল জেল থেকে সোজা বিচারককে চিঠি লিখে বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল দাবি করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য তাঁর উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে। তাঁর লেখা চিঠি সেদিনই আদালত কক্ষে দেখান বিচারক। কুন্তলের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারক বলেন, এই চিঠিতে যা অভিযোগ করা হচ্ছে তা তো আপনারা কখনও আদালতে বলেননি? জবাবে আইনজীবী বলেন, ‘জেলে কুন্তলের সঙ্গে আমরা দেখা করতে পারছি না। এ ব্যাপারে তাই আমরা কিছু বলতে পারিনি।’
কাকতালীয় হলেও সিবিআই বিষয়টি হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। তারপরেই সিবিআইকে পৃথক এফ আইআর দায়ের করে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও জল গড়িয়েছিল। যদিও তাতে সিবিআই তদন্ত আটকায়নি। ২০ মে এই মামলাতেই সিবিআই ন’ঘণ্টা ৪০ মিনিট নিজাম প্যালেসে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট প্রথমে সাত দিনের স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। তারপর তা ফিরিয়ে দেয় হাইকোর্টে। উল্টে অভিষেক ও কুন্তলকে ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
এর পরেই সুপ্রিম কোর্টে যান অভিষেক, তবে সেখানও কোনও রক্ষাকবচ মেলেনি তাঁর। এবার ফের হাইকোর্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা করলেন অভিষেক। ২৪ জুলাই এই মামলার শুনানি।
শুভেন্দু-সুকান্তরা সাক্ষাৎ চাইলেই গিরিরাজ দেখা করছেন, মমতার মন্ত্রী ফোন করলেই শুনছেন, ‘বাবু অসুস্থ!’