শেষ আপডেট: 4th July 2023 10:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাসন্তী থেকে রাজ্যপাল ফেরার পরের মুহূর্তে কুলতলিতে গুলি চলল। প্রচারে বেরিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূল প্রার্থী। এই ঘটনায় সিপিআইএম ও এসইউসির বিরুদ্ধে গুলির চালানোর অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের দাবি, এই ভাবেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে অশান্তি জিইয়ে রাখতে চাইছে বিরোধীরাই।
জানা গিয়েছে, কুলতলির মেরিগঞ্জ ১ গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রচার করছিলেন সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী কুতুবুদ্দিন ঘরামি। সেই সময় কয়েকজন কুতুবুদ্দিনের প্রচারের বাধা দেয়। তাতে দুপক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকে পরিস্থিতি। উভয়পক্ষই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। ভিড়ের সুযোগে কুতুবুদ্দিনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। সেই গুলি গিয়ে লাগে ওই তৃণমূল প্রার্থীর পায়ে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। গুলি চলার শব্দে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সুযোগ বুঝে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
পরে তাঁকে উদ্ধার করে জয়নগর-কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই তৃণমূল প্রার্থী। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীর। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনার পর থেকে দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে কুলতলি থানার পুলিশ। তৃণমূল এই ঘটনার নেপথ্যে সিপিএম ও এসইউসির দুষ্কৃতীরা রয়েছে বলে দাবি করেছে। যদিও গুলি চালানোর ঘটনায় বিরোধী দলগুলির তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।
শনিবার বাসন্তীতে খুন হন তৃণমূল কর্মী জাহিরুল মোল্লা। এই ঘটনায় মৃতের পরিবার দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছে। সোমবারই জাহিরুলের মেয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্যপালের সামনেই পিতৃহারা কন্যা ক্ষোভ উগরে দেন।
বাউলশিল্পীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য আরও গাঢ়, বোমায় জখম তৃণমূল কর্মী হাড়োয়া পুলিশের হেফাজতে