শেষ আপডেট: 5th October 2021 08:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুজোর আর হাতে গোনা কয়েকটা দিনই বাকি। কোভিড-বিধি মেনে এ বছরও মণ্ডপ পরিদর্শনের একগুচ্ছ বিধিনিষেধ বেঁধে দিয়েছে হাইকোর্ট। বন্তুত পুজো মণ্ডপ দর্শক-শূন্য রাখারই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজো কমিটিগুলি আদৌ সে নিয়ম মানছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে গতকাল থেকেই মণ্ডপ পরিদর্শনে বেরিয়েছেন পুলিশ কর্তারা (Kolkata Police)।
মঙ্গলবার সকালে একডালিয়া পুজোর মণ্ডপ পরিদর্শন করেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। অন্যদিকে, বিধাননগরের প্রতিটি পুজো মণ্ডপ ঘুরে তদারকি করছেন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার।
সকালে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব থেকে পরিদর্শন শুরু করেন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার। আজ দিনভর বিধাননগর পুলিশের অন্তর্গত এলাকার প্রতিটি পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন করবেন তিনি। মণ্ডপের ভেতরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হলেও বাইরে ভিড় সামাল দিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।
কমিশনার বলছেন, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিয়েছেন এমন লোকজনকেই যাতে মণ্ডপের স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত করা হয় সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি পুজো কমিটিকে অনুরোধ করা হচ্ছে।
শহরের বেশিরভাগ বড় পুজো মণ্ডপগুলিতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। আগামীকাল মহালয়া, তার কয়েকদিন পরেই দেবীর বোধন। এর মধ্যেই কলকাতার বড় পুজো মণ্ডপগুলোতে বিধি-ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে নিচ্ছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। আজ সকাল থেকে মণ্ডপগুলো ঘুরে তদারকি করছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দমকল ও পুরসভার আধিকারিকরা। কমিশনার জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে তা মেনে চলতে হবে সমস্ত পুজো কমিটি ও সাধারণ মানুষজনকে।
গতবারের মতো এবারের পুজোতেই নানা বিধিনিষেধ বেঁধে দিয়েছে হাইকোর্ট। বড় পুজোর ক্ষেত্রে মণ্ডপের ভিতরে থাকতে পারবেন সর্বাধিক ৬০ জন। ছোট পুজোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ জন। এমনকি মণ্ডপের ১০ মিটার দূরে ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড ঝুলিয়ে দর্শকদের আটকে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যাঁরা মণ্ডপের ভিতরে থাকবেন তাঁদের মাস্ক ও ফেসশিল্ড বাধ্যতামূলক। সারাক্ষণ সঙ্গে রাখতে হবে স্যানিটাইজার। ছোট পুজোর প্যান্ডেলের বাইরে পাঁচ মিটার ও বড় পুজোর প্যান্ডেলের বাইরে দশ মিটার দূরে ব্যারিকেড রাখতে হবে। দর্শনার্থীরা মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না। হাঁটতে হাঁটতেই তাঁদের প্রতিমা দর্শন করতে হবে। মণ্ডপের বাইরে অনাবশ্যক ভিড় করা চলবে না।
পুলিশ জানাচ্ছে, আগে উত্তর কলকাতা থেকে যাঁরা দক্ষিণে ঠাকুর দেখতে যেতেন, তাঁদের বড় ভরসা ছিল টালা ব্রিজ। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে টালা ব্রিজ না থাকায় গাড়ি যেভাবে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেভাবেই ট্রাফিক মানা হবে। ট্রাফিক সার্জেন্টরা সর্বক্ষণ থাকবেন ও যান নিয়ন্ত্রণ করবেন। শুধু পুজো মণ্ডপ নয়, খাবারের দোকান, শপিং মল চত্বর, রেস্তোরাঁ কোথাও যাতে বাড়তি ভিড় না হয় তা খেয়াল রাখবেন পুলিশ কর্মীরা। পুজোর সময় যে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বরাবরই রাস্তায় দেখা যায় পুলিশ কর্মীদের।
এ বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না। বরং করোনার জন্য সতর্কতা আরও বেশি থাকবে বলেই লালবাজার সূত্রে জানা গেছে।
পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা 'সুখপাঠ'