শেষ আপডেট: 3rd September 2021 06:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভোট পরবর্তী হিংসায় (post poll violence) অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তের জন্য কলকাতা হাইকোর্ট (kolkata highcourt) বিশেষ তদন্তকারী দল তথা সিট (SIT) গঠন করেছিল। তাতে রয়েছেন তিন আইপিএস সৌমেন মিত্র, সুমনবালা সাউ এবং রণবীর সিং। প্রথমে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল সিট কী ভাবে কাজ করছে তা পর্যবেক্ষণ করবেন সুপ্রিম কোর্টের কোনও একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। শুক্রবার তাতে কিছুটা বদল করল হাইকোর্ট। শুক্রবারেই সরকার গড়ছে তালিবান? বিকেলের নমাজের পরেই কি শুরু পথ চলা? এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল বলেছেন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর সিটের মাথায় থাকবেন। তিনি কলকাতা হাইকোর্ট সহ তিনটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। যা সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির সমান মর্যাদার। কলকাতায় থাকাকালীন নারদ মামলা ছিল তাঁর এজলাসে। এদিন বৃহত্তর বেঞ্চ আরও বলেছে, আগামী ৪ অক্টোবর ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তার মধ্যে সিবিআই ও সিটকে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তকে দুভাগে ভাগ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট বড় মামলাগুলির তদন্ত ভার দিয়েছে সিবিআইকে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মামলার জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল তথা সিট গঠন করেছে আদালত। কিন্তু সিবিআই জেলায় জেলায় ছুটলেও সিট কেন এখনও মাঠে নামেনি তা নিয়ে গত ৩১ অগাস্ট মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার জানা গেল, গতকাল ১ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করেছে। নবান্নের সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পাঁচটি জোনে ভাগ করে এই তদন্ত করবে বিশেষ তদন্তকারী দল তথা সিট। তাতে বলা হয়েছে, হেডকোয়ার্টার জোনে সোমা দাস মিত্র এবং শুভঙ্কর ভট্টাচার্য, নর্থ জোনে ডিপি সিং এবং প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী, ওয়েস্ট জোনে সঞ্জয় সিং এবং বিএম মিনা, সাউথ জোনে সিদ্ধিনাথ গুপ্ত ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা পুলিশে তন্ময় রায়চৌধুরী এবং নীলাঞ্জন বিশ্বাস তদন্তের দায়িত্ব সামলাবেন। সিবিআই ছুটছে, সিট কই? এই প্রশ্ন তুলেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মামলাকারীদের একাংশ। গত মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল। তার পর্যবেক্ষণে তাত্পর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। তিনি বলেন, সিট যে কাজ করছে না সেটা আমরা জানি। প্রয়োজনে পদক্ষেপ করা হবে। পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা 'সুখপাঠ'