শেষ আপডেট: 7th November 2024 18:17
দ্য ওয়াল ব্য়ুরো, জলপাইগুড়ি: নিষেধাজ্ঞা উঠতেই কোচবিহারের সাগরদিঘিতে ছট পুজোর ব্রত পালন করলেন সেখানকার হিন্দিভাষীরা। সূর্য ডোবার আগেই পুজোর বরণ ডালা সাজিয়ে ঘাটে ভিড় করেছিলেন পুণ্যার্থীরা। সূর্যদেবের উদ্দেশে ব্রত পালন করলেন।
কয়েকদিন আগেই কোচবিহার সাগরদিঘিতে ছট পুজোয় নিষেধাজ্ঞা কোচবিহার প্রশাসনের। ঘটনায় নিয়ে হাইকোর্টের দারস্থ হন কোচবিহারের বাসিন্দা তথা নর্থ বেঙ্গল বাঁশফোড় এন্ড হরিজন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দীপু হরিজন সহ অন্যান্যরা।
তাঁদের বক্তব্য ছিল, রাজার আমল থেকে সাগরদিঘিতে ছটপুজো হয়ে আসছে। আচমকা সেখানে ছটপুজো বন্ধ করা সম্ভব নয়। এতে পুণ্যার্থীরা সমস্যায় পড়বেন। এই সমস্ত প্রশ্ন তুলেই কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবারই জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠেছিল মামলা। সেখানে কোচবিহার প্রশাসনের জারি করা নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে ছট পুজোর অনুমতি দেন বিচারপতি। এই রায়ে খুশি হরিজন সমাজ।
মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত মজুমদার জানিয়েছেন, সাগরদিঘিতে ছট পুজোর করার নিয়ে কোচবিহার প্রশাসন যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, তা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি। সাগরদিঘিতে ছটপুজো করা যাবে না, এমন কোনও নির্দেশ জারি করেনি গ্রিন ট্রাইবুনাল। পরিবেশে যাতে দূষিত না হয় সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছিল।
নর্থ বেঙ্গল বাঁশফোড় এন্ড হরিজন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দীপু হরিজন বলেন, "মহারাজার আমল থেকে সাগরদিঘিতে ছটপুজো হয়ে আসছে। আমার ঠাকুরদাও সেখানে ছটপুজো করতেন। কয়েকদিন আগে শুনতে পাই, সাগরদিঘিতে ছটপুজো করা যাবে না বলে মামলা হয়েছে। এই নিয়ে ডিএমের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে ডিএম সাহেব আমাদের জানিয়ে দেন ওই ঘাট ছাড়া অন্যান্য ঘাটে ছটপুজো করা যাবে। বিষয়টি নিয়ে সমাজের অনেক এই নিষেধাজ্ঞা মানতে চাননি। ফলে আমরাও হাইকোটের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। এই রায়ে আমরা খুশি।"