কন্যাশ্রী না পেয়ে বিডিওর দ্বারস্থ ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রী
শেষ আপডেট: 11th July 2024 14:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মালদহ: কন্যাশ্রীর ফর্ম ভেরিফিকেশনের সময়ে টাকা চেয়েছিলেন এক পঞ্চায়েত দফতরের কর্মী। তা দিতে অস্বীকার করেছিলেন আবদেনকারী পড়ুয়া। ফলে তাঁকে 'বিবাহিত' দেখিয়ে ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রীর আবেদন বাতিলের অভিযোগ উঠল ওই পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে। মালদহের রতুয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
ওই পড়ুয়ার নাম সুলতানা পারভিন। তিনি রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের চাঁদমণি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বোমপাল গ্রামের বাসিন্দা। বাবার নাম রবিউল ইসলাম। বাটনা জেএমও সিনিয়র মাদ্রাসার পড়ুয়ার তিনি। দেড় বছর আগে সুলতানা ১৮ বছরে পা দেন।। এখন তাঁর বয়স ১৯। তিনি নিয়ম মেনে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের কে-২ ফর্ম ফিলআপ করেছিলেন। মাদ্রাসাও সেই ফর্ম ভেরিফিকেশন করে স্থানীয় পঞ্চায়েত দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছিল।
এখন সুলতানার অভিযোগ, সুলতানার ফর্ম অনুমোদন করতে টাকা দাবি করেছিলেন পঞ্চায়েত দফতরের এক কর্মী। তবে ওই মাদ্রাসার পড়ুয়া টাকা দিতে অস্বীকার করেন। তারপরেই তিনি জানতে পারেন, 'বিবাহিত' হিসাবে তাঁকে দেখানোয় কন্যাশ্রীর আবেদন বাতিল হয়েগিয়েছে। এখন অভিযোগকারিণী পড়ুয়ার দাবি, তিনি বিবাহিত নন। ওই পঞ্চায়েত দফতরের কর্মী ইচ্ছে করেই তাঁকে 'বিবাহিত' দেখিয়েছেন। ফলে তাঁর আবেদন বাতিল হয়ে গিয়েছে।
সুলতানা বলেন, "পঞ্চায়েত থেকে আমাকে বিবাহিত বলে রিপোর্ট পাঠানোয় আমার ফর্ম বাতিল হয়ে গিয়েছে ৷ এনিয়ে আমি বিডিওকে অভিযোগ দায়ের করেছি৷''
নিয়ম অনুযায়ী, অবিবাহিত পড়ুয়াদেরই কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা পাওয়ার সুবিধার রয়েছে। ফর্মের সঙ্গে আবেদনকারী পড়ুয়াকে একটি লিখিত বয়ান দিতে হয়। সেখানে অবিবাহিত উল্লেখ করতে হয়। এরপরে পঞ্চায়েত দফতরে সেটিকে মান্যতা দিয়ে রিপোর্ট পাঠালে, তার ভিত্তিতেই জেলা দফতর থেকে কন্যাশ্রীর আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
এই বিষয়ে বাটনা জেএমও সিনিয়র মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আনওয়ারুল হক বলেন, "ওই পড়ুয়ার কাছে সব শুনে আমি পঞ্চায়েত দফতরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিলাম। কেন ওই পড়ুয়াকে বিবাহিত দেখানও হল তা জানতে চাই। কিন্তু কোনও সদুত্তর পায়নি। বিষয়টি আমি ব্লক অফিসের নোডাল অফিসারকেই জানিয়েছি৷''
বিডিও রাকেশ টোপ্পো জানিয়েছেন, "অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে৷ অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হলে ওই সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হবে৷''