শেষ আপডেট: 16 August 2022 07:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চার মাস প্রাথমিক শিক্ষকের (Primary Teacher) চাকরি করার পর চাকরি চলে গিয়েছিল মুর্শিদাবাদের মিরাজ শেখের। তাঁর দায়ের করা মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার। সেই শুনানিতে বিচারপতি মিরাজকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার নির্দেশ শুধু দিলেন না সেইসঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যও করলেন (Kolkata High Court)।
এদিন মিরাজের মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “মানিক ভট্টাচার্যকে টাকা দেননি, তাই হয়তো মামলাকারীর চাকরি বাতিল হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এমন একটা রাজ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে যেখানে টাকা না দিলে চাকরি মেলে না।”
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ই। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অসঙ্গতির হদিশ পেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সেই মামলায় তদন্ত শুরু করেছে আর এক কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দুই সংস্থাই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিককে একাধিকবার জেরা করেছে। এমনকি তৃণমূলের পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিককে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ থেকে সরতে হয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই। এদিন সেই তিনিই বললেন, মানিককে টাকা দেননি বলেই হয়তো মিরাজের চাকরি গিয়েছিল।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন মিরাজ। সার্ভিস বুক তৈরির সময় তাঁর চাকরি বাতিল করে দেয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ জানায়, প্রাথমিক বোর্ডের নির্দেশিকা অনুযায়ী সংরক্ষিত পদের জন্য অনার্স স্নাতকে ন্যূনতম ৪৫ শতাংশ নম্বর দরকার। সাধারণ শ্রেণীর জন্য ন্যূনতম নম্বর প্রয়োজন ৫০ শতাংশ। মামলাকারী মিরাজ সংরক্ষিত আসনে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাঁর স্নাতকে (অনার্স) নম্বর ছিল ৪৬ শতাংশ। তারপরেও তাঁর চাকরি বাতিল করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তারপর এদিন সেই মামলার রায় দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, নিয়ম না থাকলে নিয়োগের আবেদনপত্র গৃহীত হয়েছিল কীভাবে? তারপর মিরাজকে দ্রুত চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ডিএ মামলা: রাজ্যের পু্নর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণ করল হাইকোর্ট, চলতি মাসেই শুনানি