দ্য ওয়াল ব্যুরো, মালদা: পিএসসি পরীক্ষায় বসার জন্য কোনও আবেদন করেননি। তবু ওয়েবসাইটে ফুড ইনস্পেক্টর নিয়োগের উত্তীর্ণদের তালিকায় উঠে গেল তাঁর নাম। এমন ঘটনা ঘটেছে চাঁচল থানার মালতিপুর এলাকার এক যুবক গোলাম সারওয়ার আলম সিদ্দিকির সঙ্গে। তাঁর অভিযোগ, ওয়েবসাইটে তাঁর নাম ওঠার পর থেকেই টাকার জন্য ফোনে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এমনকী টাকা না দিলে খুনের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। ভয়ে তিনি চাঁচল থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। গোটা ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

গোলাম সারওয়ার জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি সরকারি চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন। বেশ কয়েকবছর আগে পরিমল কুণ্ডু নামে এক প্রাথমিক শিক্ষককের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। পরিমলের বাড়ি নদিয়ার ভীমপুর এলাকায়। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চাঁচলের মালতিপুরে কর্মরত ছিলেন ওই শিক্ষক। পরিমল তাঁকে জানিয়েছিলেন, তিনি টাকা দিয়ে স্কুলের চাকরি পেয়েছিলেন। গোলাম তখন তাঁকে নিজের সমস্য়া কথা জানিয়েছিলেন। 

একদিন আচমকাই ওই পরিমল তাঁকে মেসেজ করেন। তাঁর কাছে ফুড ইনস্পেক্টরের চাকরিতে নিয়োগের খবর রয়েছে বলে জানান। টাকার বদলে সাতদিনের মধ্যে ওই পদে গোলামকে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন পরিমল। কিন্তু সেই প্রস্তাব ঠিক মনে হয়নি গোলামের। তাই পরিমলকে বলেন, আগে পিএসসি উত্তীর্ণদের তালিকায় তাঁর নাম তুলে দেখাতে। তারপর টাকার কথা হবে।

গোলামের দাবি, এই কাজের জন্য পরিমল ৭ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। পরিমল ২০১৮ সালের ফুড ইনস্পেক্টর নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকায় গোলামের নাম তুলে দেবেন বলে জানান। গত ১৪ জুন তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর পিএসসির ওয়েবসাইট সার্চ করতেই চোখ কপালে উঠে চাঁচলের ওই যুবকের। দেখেন, কোনও আবেদন না করেই তাঁর নাম ওই তালিকায় রয়েছে। এরপরেই পরিমলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। সেই সময়ে ওই শিক্ষক তাঁকে জানান, কয়েকদিনের মধ্যে জয়েনিং লেটার হাতে চলে আসবে। কথা মতো অর্ধেক টাকাও দাবি করেন ওই শিক্ষক। এরপর থেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন চাঁচলের ওই যুবক। 

ওই যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর কাছে লাগাতার হুমকি ফোন আসছে। টাকা না দিলে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সমস্ত নথিপত্র জমা দিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ওই যুবক। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত নেমেছে। পরিমল কুণ্ডু নামে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।