শেষ আপডেট: 25th November 2022 11:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পুরুলিয়া: করোনা পর্ব কাটিয়ে ছেলে-মেয়েরা রোজ স্কুলে আসছে। নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস শুরুর ঘণ্টাও পড়ছে। স্যাররাও নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের আর দেখা নেই। মাস যায়, বছর ঘোরে তবু তিনি স্কুলে আসেনই না বলতে গেলে। ইলেভেনে পড়া ছেলেটা সেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় হেড স্যারকে শেষ দেখেছিল! ফলে স্যারকে কেমন দেখতে তা ভুলতে বসেছে অনেকেই। এমনই অচলাবস্থা চলছে পুরুলিয়ার ঝালদার দু'নম্বর ব্লকের বড়রোলা হাইস্কুলে(Jhaldah High School) ।
প্রধান শিক্ষক (Principle) না আসায় পনের মাস ধরে বন্ধ মিড-ডে মিল বন্ধ এই বড়রোলা হাইস্কুলে। শিক্ষকদের বেতনও বন্ধের মুখে। ধার-দেনা করে চলছে বার্ষিক পরীক্ষার আয়োজন। সবমিলিয়ে এক চরম অরাজক পরিস্থিতিতে চলছে স্কুলটি।
বড়রোলা হাইস্কুল যেখানে অবস্থিত সেই ঝালদা দু'নম্বর ব্লক এক সময় নারী শিক্ষায় দেশের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলোর অন্যতম ছিল। প্রথমে এটি জুনিয়র হাইস্কুল ছিল। ২০০৯-১০ সালে মাধ্যমিক স্কুলে উত্তীর্ণ করা হয়। ২০১২ সাল থেকে উচ্চমাধ্যমিকের পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। বর্তমানে পড়ুয়ার সংখ্যা ১৭০০। শিক্ষকের সংখ্যা ১৬ জন। এছাড়াও দু'জন প্যারা টিচার ও তিনজন অশিক্ষক কর্মী আছে। এমন পিছিয়ে পড়া এলাকার স্কুল হয়েও বছর বছর রেজাল্টের উন্নতি ঘটিয়েছে বড়রোলা হাইস্কুল। সেই স্কুলেই এমন অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হওয়াটা যে পড়াশোনার পক্ষে ভাল বিজ্ঞাপন নয় তা বুঝতে পারছে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সকলেই।
জমি বিতর্কে উত্তাল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, দিনভর বিক্ষোভ ছাত্র-শিক্ষকদের
প্রধান শিক্ষক রাজীব রঞ্জন মাহাত কেন স্কুলে আসেন না তার উত্তর দিতে পারেনি কেউ। দুর্গাপুজোর ছুটি পড়ার আগে একদিন কিছুক্ষণের জন্য এসেই তিনি চলে যান বলে জানা গিয়েছে। শেই শেষ, তারপর থেকে আর স্কুলে আসেননি রাজীব রঞ্জন মাহাত। তাঁর বিরুদ্ধে মাসে একদিন এসে সারা মাসের অ্যাটেন্ডেন্স খাতায় সই করার অভিযোগ আছে। সেই ২০১৫ সালে স্কুলে শেষ অডিট হয়েছে। এই অবস্থায় স্কুলের কাজকর্ম চালাতে তারালাল মুড়া নামে এক সহ শিক্ষককে সদ্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে পুরুলিয়ার ডিআই গৌতম মালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, "বিষয়টি জানি। প্রধান শিক্ষক কেন নিয়মিত আসেন না জানা নেই। তবে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।"