শেষ আপডেট: 12th August 2024 19:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা ডাক্তার খুনের ঘটনার পর থেকে উত্তাল রাজ্য। কলকাতা রাস্তা এখন শুধু চলছে প্রতিবাদ মিছিল। হাসপাতালের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। তাতে চাপ বাড়ছে সরকারি হাসপাতালগুলির কর্তৃপক্ষের উপর। এবার জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিল কর্তৃপক্ষ। রোগীর পরিজনদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল তারা।
সোমবার বিকেলে এক জরুরি বৈঠক হয় জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে। এদিনের বৈঠকে মূল ইস্যু ছিল মেডিক্যাল কলেজ ও তাঁর অধীনে থাকা হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা। একইসঙ্গে গার্লস ও বয়েস হোস্টেল, নার্সিং হোস্টেলগুলিতে কীভাবে নিরাপত্তা বাড়ানো যায় তাই নিয়ে আলোচনা হয়। সম্প্রতি ৫ লক্ষ টাকার ফান্ড পেয়েছে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই টাকাই হাসপাতালের নিরাপত্তা খাতে ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি জায়গায় সিসিটিভি সার্ভিল্যান্স বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানাগিয়েছে। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি নেই। তাই কীভাবে সেখানে পুলিশি পাহারা বসানো হবে তাই নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডাক্তার প্রবীর কুমার দেব, ভাইস প্রিন্সিপাল ডাক্তার কল্যাণ খাঁ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌভনিক মুখোপাধ্যায়, আই সি কোতোয়ালি সঞ্জয় দত্ত সহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকেরা। একই সঙ্গে নার্সিং সুপার, সিকিউরিটি ইনচার্জ সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য আধিকারিকেরাও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধীনে থাকা সদর হাসপাতাল, মাদার চাইল্ড হাব, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, টিবি হাসপাতাল, নার্সিং হোস্টেল,মেডিক্যাল পড়ুয়াদের হোস্টেলগুলির অরক্ষিত এলাকা পরিদর্শন করেন পুলিশ আধিকারিক, স্বাস্থ্য কর্তা, চিকিৎসক ও নার্সিং স্টাফদের একটি টিম।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌভনিক মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন "এই বৈঠকে মূলত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর বেশি তিনি কিছু বলেননি।"
মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডাক্তার প্রবীর কুমার দেব বলেন, "আগামীকাল, মঙ্গলবার চিকিৎসকদের একাংশ ধর্মঘট করবে বলেছে। এরা এমার্জেন্সি পরিষেবা দেবে। কিন্তু আউটডোর পরিষেবা দেবে না বলে জানিয়েছে। আমরা বিকল্প ব্যবস্থা করব। পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে।"
হাসপাতালের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমাদের সবকটি হাসপাতাল মিলিয়ে প্রায় ৯০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। এর মধ্যে কিছু ক্যামেরা খারাপ হয়ে গেছে। সেগুলি মেরামত করা। আরও কোথায় নতুন ক্যামেরা প্রয়োজন থাকলে, সেই জায়গাগুলি চিহ্নিত করে দ্রুত ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে।"
তিনি আরও বলেন, "চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি রোগীর আত্মীয় স্বজনদের হাসপাতালে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।"
পুলিশ ফাঁড়ি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এর জন্য পুলিশকে কিছু ঘর দিতে হবে। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই। ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।"