শেষ আপডেট: 5th November 2024 19:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: ঘর থেকে উদ্ধার বাবা-মেয়ের ঝুলন্ত দেহ! মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাড়আলতা ২ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের উত্তর খট্টিমারি এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম বাদল রায় (৩৪) ও তাঁর মেয়ের নাম কেয়া রায় (১১)। বাদল পেশায় দিনমজুর ছিলেন। বাবা-মেয়ের সংসারে আর কেউ ছিল না। স্থানীয়রা এদিন মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন। বাদল না আসায় তাঁদের বাড়িতে খোঁজ করতে যান কয়েকজন। তখন তাঁরা বাদল ও তাঁর মেয়ের দেহ ঘরের মধ্যে ঝুলতে দেখেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে বাদলের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সন্তান ও স্বামীকে ছেড়ে বাদলের স্ত্রী অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে একাই থাকতে শুরু করেন বাদল। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তবু মেয়েকে আঁকড়ে জীবনে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। দিনমজুরি খেটে চলছিল তাঁদের সংসার। এভাবেই চলছিল বাবা-মেয়ের সংসার।
বাদলের ভাইয়ের দাবি, "এদিন সকাল থেকে দাদা ও ভাইঝির সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। তাই তাদের বাড়িতে যাই। বাইরে থেকে ডাকাডাকি করি। কিন্তু সাড়া পাইনি। পরে বাড়ির ভিতরে দেখতেই দেখি, গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় দাদা ও ভাইঝি ঝুলছে।"
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। বাবা-মেয়ের দেহ উদ্ধার করে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। তবে এই ঘটনা ঘিরে রহস্য ঘনিয়েছে। আত্মহত্য়া নাকি খুন, কী ঘটেছিল? তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।