শেষ আপডেট: 7th April 2023 14:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দু’দিন আগে বর্ধমান শহরে হইহই পড়ে গিয়েছিল। কী ব্যাপার! না জেলা পার্টি অফিসের সামনে বিজেপিরই দুই গোষ্ঠী চুলোচুলি করছিল। একদল মারছে। অন্য দল পার্টি অফিসের তালা ভাঙছে। সে কী কাণ্ড! শুক্রবার সেই কোন্দল বিদীর্ণ বর্ধমানে (Bardhaman) সভা করতে গিয়ে সংগঠনকে পোক্ত করার বার্তার বদলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) গলায় শোনা গেল কেন্দ্রীয় এজেন্সির (Central agency) আস্ফালন। যা দেখে অনেকে বলছেন, বুথে যাদের সংগঠন নেই তারা কেবল এজেন্সির ভরসায় আছে। একুশেও তাই করেছিল, কী হাল হয়েছে সবাই দেখেছে।
এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘কুন্তল, শান্তনু—পাশের জেলায় চলে এসেছে। এবার বর্ধমানেও ঢুকবে। একদম চিন্তা করবেন না।’ সেইসঙ্গে বর্ধমান শহরের বিধায়কের উদ্দেশে বলেন, ‘এখানকার বিধায়ক ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় দু’তিনবার সিবিআইয়ের কাছে ঘুরে এসেছে। ভাববেন না পার পেয়ে গেল। আবার ঠিক হবে।’
শুভেন্দুর এই ধরনের কথা থেকে আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করেন দিলীপ ঘোষরা। কিন্তু শুভেন্দু যেন রোজ বুঝিয়ে দিচ্ছেন ‘শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, এজেন্সিই ভরসা।’
শুভেন্দু রামনবমী, হনুমান জয়ন্তীর প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী দিঘার সভা থেকে বলছেন, সংখ্যালঘু মা-ভাইবোনেরা—আপনারা আল্লাহতালাহের কাছে দুয়া করুন। দাঙ্গাবাজরা যাতে ধ্বংস হয়। এ কেমন মুখ্যমন্ত্রী।’
শুভেন্দুর এই কথায় যে মেরুকরণের মশলা ঠাসা এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, দিঘার ওই সভা থেকেই মমতা দলের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘কেউ ঝগড়া করবেন না। সবাই মিলে কাজ করতে হবে।’ অর্থাৎ সংগঠনকে মজবুত করার বার্তা ছিল। কিন্তু কোন্দলে দীর্ণ বর্ধমানে গিয়ে শুভেন্দুর মুখে শুধুই এজেন্সি, এজেন্সি আর এজেন্সি।
গিরিরাজ লুকোচুরি খেলেছেন অভিষেকদের সঙ্গে, দিল্লিতেই ছিলেন, বিহারে যাননি জানাল তৃণমূল