শেষ আপডেট: 7th June 2023 03:46
যে পাঁচ গাড়ির ব্যবহার ভারতীয় সেনাবাহিনীতে হয়েছে
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যখনই আমরা সেনাবাহিনীর (Indian Army) কথা ভাবি, আমাদের মাথায় আসে নানা অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রের কথা। যেমন ট্যাঙ্ক, যুদ্ধবিমান, সাবমেরিন বা রকেট লঞ্চার। কিন্তু তার পাশাপাশি, অসামরিক সাধারণ মানুষের ব্যবহারে লাগে, এমন অনেক গাড়িও দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছে ভারতীয় সেনা। তার অনেকগুলোই এখন আর নতুন করে তৈরি হয় না। কিন্তু বহাল তবিয়তে সেনাবাহিনীতে রয়ে গিয়েছে তারা।
১) অ্যাম্বাস্যাডর
গোটা ভারতীয় গাড়িশিল্পের ইতিহাসে এককালের সবচেয়ে 'আইকনিক' গাড়ি ছিল অ্যাম্বাস্যাডর। ব্রিটিশ আমলে মরিস গাড়ির নকশার ওপর ভিত্তি করে কলকাতার উপকণ্ঠে কোন্নগরে তৈরি এই গাড়ি এককালে ছিল ভারতের সমস্ত নেতা-মন্ত্রীর অলিখিত 'অফিশিয়াল' গাড়ি। সেনাবাহিনীতেও অ্যাম্বাস্যাডর ব্রাত্য হয়নি। স্রেফ খোলামেলা ডিজাইন আর ভেতরে বসার জায়গার জন্যই আজও বহু সেনাকর্তা বা আধিকারিক এই গাড়িতে চড়তেই স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।
২) মারুতি জিপসি
১৯৯১ সালে যাত্রা শুরু করা মারুতির এই 'এসইউভি' মডেলের গাড়ি আজ কার্যত ভারতীয় সেনার সঙ্গে সমার্থক। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে পাঠানো, নির্ভরযোগ্য ইঞ্জিন ও ওজনে হালকা হবার জন্য জিপসির জনপ্রিয়তা বজায় থেকেছে আড়াই দশক। পরে অবশ্য টাটা সাফারিকে জায়গা দিতে সরে যায় জিপসি।
৩) টাটা সুমো
কোথাও ঘুরতে গেলে, বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা থাকলেই আজও টাটা সুমোর কোনও বিকল্প নেই। ভারতীয় সেনার জন্যও বহুদিন রয়েছে বিশেষ নকশার এক টাটা সুমো। এই মডেল, 'টাটা সুমো 4x4' বলে পরিচিত, ভারতীয় সেনার মেডিক্যাল বাহিনীতে অ্যাম্বুল্যান্স হিসেবে আজও পরিষেবা দিয়ে চলেছে।
৪) টাটা সাফারি স্টর্ম
সাধারণ টাটা সাফারির চাইতে অনেকগুণে বেশি মজবুত, বেশি শক্তিশালী এই টাটা সাফারি স্টর্ম মডেলকে নামানো হয়েছিল বিশেষভাবে সেনাবাহিনীর কাজের জন্যই। শুরুতে ৩১৯২ টি সাফারি স্টর্ম সেনাকে সরবরাহ করার বরাত পেয়েছিল টাটা মোটরস। সেনাবাহিনীর ব্যবহারের জন্য ইঞ্জিনকেও অনেক বেশি শক্তিশালী করা হয়েছিল।
৫) মাহিন্দ্রা স্করপিও
এই মুহূর্তে ভারতের রাস্তায় অন্যতম জনপ্রিয় 'এসইউভি' মাহিন্দ্রা স্করপিও। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই বিছের ওপর নির্ভর করেছে ভারতীয় সেনাও। সম্প্রতি ১৪৭০ টি নতুন গাড়ির বরাতও দিয়েছে তারা। যে কোনও দুর্গম বা চড়াই-উৎরাই রাস্তায় বাহিনী থেকে সরঞ্জাম, সবকিছু পাঠাতেই অন্যতম ভরসার জায়গা এই স্করপিও।
এ আর রহমান সুর চুরি করেছেন হিন্দুস্থানী রাগ সঙ্গীতের অনামী শিল্পীর থেকে! বিচার চেয়ে সরব গায়ক