শেষ আপডেট: 27th October 2021 06:22
শিশুদের কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে কীভাবে, সরকারের নির্দেশিকা শীঘ্রই
দ্য ওয়াল ব্যুরো : অক্টোবরের শুরুতেই হু (WHO) জানিয়েছিল, ভারতে কমবয়সীদের মধ্যে কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে। সম্ভবত আগামী মাস থেকেই ভারতে শিশুদের কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। তার আগে সরকার স্থির করছে, কোন শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া যেতে পারে। কী কী রোগ থাকলে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না, তারও তালিকা তৈরি হচ্ছে। সরকারের একটি সূত্র থেকে জানানো হয়েছে, শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, তা স্থির করা হচ্ছে। নভেম্বরে সম্ভবত প্রথমে ১২ বছরের বেশি বয়সী কিশোর-কিশোরীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যে শিশুদের কোভিড সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাদেরও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যাদের কোনও অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, গুরুত্ব পাবে তারাও। গত মাসেই জাইদাস হেলথকেয়ারের জাইকভ-ডি নামে ভ্যাকসিনটি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মালব্য বলেন, "শিশুদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি খুবই সংবেদনশীল। সেজন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মতই চূড়ান্ত বলে ধরা হবে। সরকার এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করবে না।" অক্টোবরের শুরুতে হু জানায়, ভারতে ৯৫০০ কোভিড রোগীর জিনোম সিকোয়েনসিং করা হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে, সদ্যোজাত থেকে ১৯ বছর বয়সী এবং মহিলাদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়ছে। মাঝবয়সীরা সংক্রমিত হচ্ছেন তুলনায় কম। একইসঙ্গে হু জানায়, গত অগাস্ট থেকে বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুহার কমছে। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবরের মধ্যে বিশ্বে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ লক্ষ মানুষ। মারা গিয়েছেন ৫৪ হাজার জন। অতিমহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বিশ্ব জুড়ে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৩৪ লক্ষ মানুষ। মারা গিয়েছেন প্রায় ৪৮ লক্ষ জন। গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে ৯ শতাংশ। যদিও মৃত্যুহার একই আছে। হু এর বক্তব্য, ইউরোপ বাদে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেই কমছে কোভিডের প্রকোপ। আফ্রিকায় কোভিডের সংক্রমণ কমেছে ৪৩ শতাংশ। ভূমধ্যসাগরের পূর্বে কমেছে ২১ শতাংশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কমেছে ১৯ শতাংশ। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কমেছে ১২ শতাংশ। আমেরিকা এবং ইউরোপ বাদে অন্যত্র মৃত্যুহার কমেছে ১০ শতাংশ। মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি কমেছে আফ্রিকায়। সেখানে এক সপ্তাহে ২৫ শতাংশ মৃত্যুহার কমে গিয়েছে।