শেষ আপডেট: 19th June 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো : পূর্ব লাদাখে গালওয়ান উপত্যকার ওপরে চিনের দাবি মিথ্যা। শনিবার জোরগলায় জানিয়ে দিল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব এদিন বলেন, চিন নিজেই আগে গালওয়ান উপত্যকা সম্পর্কে অন্য কথা বলত। এখন তারা ওই অঞ্চলটি দাবি করছে। তারা যদি সেখানে বেআইনিভাবে ঢোকার চেষ্টা করে, তাহলে উপযুক্ত জবাব পাবে। তাঁর বক্তব্য, গালওয়ান উপত্যকা নিয়ে অতীতেই দুই পক্ষ পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চিন এখন এসম্পর্কে যে অবস্থান নিচ্ছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। অতীতে চিনই ওই উপত্যকা সম্পর্কে ভিন্ন কথা বলত। গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ভারতের ২০ জন সৈনিক মারা যান। চিনের তরফেও অনেকে হতাহত হয়। অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, চিন সীমান্তে কী পরিস্থিতি রয়েছে, আমাদের সেনা জানে। গালওয়ান উপত্যকা সহ প্রতিটি সেক্টরের ওপরেই সেনাবাহিনীর নজর আছে। ভারতের সেনা কখনই সীমান্ত অতিক্রম করেনি। তারা দীর্ঘদিন ধরে ওই অঞ্চলে টহল দেয়। কখনও কোনও সমস্যা হয়নি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ওয়েস্টার্ন সেক্টরে চিন অনেকদিন ধরেই সীমান্ত অতিক্রম করে আমাদের এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করছে। আমরাও তার উপযুক্ত জবাব দিয়েছি। এদিন কেন্দ্রীয় সরকার আর একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, সকলকে পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে, ১৫ জুন চিন সীমান্তে গালওয়ানে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে। চিন সীমান্তের কাছেই একটি কাঠামো তৈরি করছিল। বারণ করা সত্ত্বেও তারা শোনেনি। গালওয়ানে সংঘর্ষের পরদিন বিদেশমন্ত্রক থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, "চিনারা একতরফা সীমান্তে স্থিতাবস্থা নষ্ট করতে চেয়েছিল। তাই সংঘর্ষ শুরু হয়।" শনিবার অবশ্য বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন, স্থিতাবস্থা নষ্ট করা বলতে কী বোঝানো হচ্ছে, স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে না। এদিন সকালে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিদম্বরম প্রশ্ন তোলেন, চিনারা যদি সীমান্ত পেরিয়ে আমাদের দেশে নাই ঢুকবে, তাহলে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার কথা বলছেন কেন? সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "কোনটা ভারতের অঞ্চল তা মানচিত্রে স্পষ্ট দেখানো আছে। আমরা সেই জমি রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সেখানে কিছু বেআইনি দখলদারি হয়েছিল। সর্বদলীয় বৈঠকে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কেউ যদি সীমান্তে স্থিতাবস্থা বদলাতে চায়, সরকার সহ্য করবে না।"