শেষ আপডেট: 12th August 2022 07:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হাওড়ায় একই পরিবারে চারজনকে নৃশংস ভাবে খুনের (Howrah Murder) ঘটনায় ধৃত পল্লবী গতকালই জানিয়েছিল, রেগে গেলে তার নাকি হুঁশ থাকে না, সে অনেককে খুন করতে পারে। আজ জানা গেল, নেপথ্যে শুধুই সম্পত্তির বিবাদ (Property Clash) নয়, ছিল বিবাহবহির্ভূত কু-সম্পর্কও (Extramarrital Affair)।
জানা গিয়েছে, পরিবারের যিনি মাথা অর্থাৎ বাবা, শিশিরকুমার ঘোষ, তাঁর সম্পত্তি কে পাবে এই নিয়ে দুই ভাইয়ের ঝামেলা ছিল। দাদা দেবাশিসের সঙ্গে ভাই দেবরাজের ঝগড়াঝাঁটি সারা পাড়া জানত। বদমেজাজি দেবরাজ বাড়িতে ভাঙচুরও চালাত। এমনকি মারধরও করত বাবা, দাদা, মাকে। বছর দশেক আগে দেবরাজ ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পল্লবীর। দেবরাজের বাবা হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্টে চাকরি করতেন। বড় ছেলে দেবাশিস ও তাঁর স্ত্রী পরিবারের দেখাশোনা করতেন বলে তাঁদের বেশি ভালবাসতেন শিশিরবাবু। অবসরের পর বেশ কিছু টাকা তিনি বড় ছেলে ও তাঁর স্ত্রীকে দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এই নিয়েই রাগ ছিল দেবরাজ ও পল্লবীর।
তবে এখানেই শেষ নয়। দেবরাজের স্ত্রী পল্লবীকে নাকি কুপ্রস্তাব দিতেন দাদা দেবাশিস। এমনকি অত্যাচারও করতেন, করতেন যৌন নিগ্রহ। সেই নিয়ে আবার রীতিমতো টাকার লেনদেন হতো পরিবারের মধ্যে। পুলিশ জানতে পেরেছে, পেশায় গাড়িচালক দেবাশিস, ভাইয়ের স্ত্রী পল্লবীর সঙ্গে 'সম্পর্ক'র বিনিময়ে ভাই ও বৌমাকে টাকা দিত।
জানা গেছে, বুধবার রাতেও তেমনই দেবরাজ ও পল্লবীকে ২ হাজার টাকা দিতে এসেছিল দেবাশিস। তখন তুঙ্গে উঠেছে বাড়ির ভাগ নিয়ে বিবাদ। তার মধ্যে দেবাশিসের এই টাকা দিতে আসা দেখে প্রচণ্ড রেগে যায় পল্লবী। রাগের বশে স্বামী দেবরাজের সঙ্গে দেবাশিসকে গিয়ে খুনই করে বসে। এমনকি দেবাশিসের উপর রাগে তাঁকে কুপিয়ে পল্লবী তাঁর যৌনাঙ্গও কেটে নেয়! দেবাশিসের স্ত্রী রেখাকেও কুপিয়ে মারে পল্লবী।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সম্পত্তি নিয়ে প্রায়ই অশান্তি করত পরিবারের সদস্যরা। চলত মারপিরও। এই নিয়ে মাসখানেক আগে থানায় অভিযোগ করেছিলেন দেবাশিসবাবু। তারপর কয়েকদিন বন্ধ ছিল অশান্তি। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে আবার শুরু হয় ঝামেলা। তখনই রাগের মাথায় ৪ জনকে কুপিয়ে খুন করে পল্লবী, জানিয়েছে পুলিশ।
চোখের সামনে হুড়মুড়িয়ে ভাঙল ব্রিজ, ভাসল গাড়ি! মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত হিমাচলপ্রদেশ