শেষ আপডেট: 20th January 2021 14:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমফানের ত্রাণের টাকার অডিট নিয়ে সরকার ভীত নয় বলে নবান্ন থেকে জোর গলায় দাবি জানানো হচ্ছিল। অথচ এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্ট কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটরস জেনারেলকে দিয়ে অডিট করানোর নির্দেশ দিয়েছিল, সেই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনও জানিয়েছিল রাজ্য। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের স্ববিরোধ আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট ফের পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দিল, রায় পুনর্বিবেচনার প্রশ্নই নেই। আমফানের ত্রাণের টাকা কোথায় কত খরচ তা সমস্ত কাগজপত্র দিয়ে ক্যাগকে জানাতে হবে রাজ্য সরকারকে। প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণণনের নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চের এও নির্দেশ, এ ব্যাপারে অনন্ত সময় চাইতে পারবে না রাজ্য সরকার। এর আগে রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, যেহেতু এখনও চলতি অর্থবর্ষ শেষ হয়নি, তাই জেলা শাসকরা সমস্ত হিসাব এখনও গুছিয়ে উঠতে পারেনি। কিন্তু সেই যুক্তি শুনতে চাইল না হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের এই রায়ে ভোটের আগে সরকারের মুখ পুড়ল বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ। বিরোধীরাও এ ব্যাপারে সরকারের সমালোচনায় মুখর। এমনিতেই জগৎপ্রকাশ নাড্ডা থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা দুবেলা উঠতে বসতে তৃণমূলকে আমফানের টাকা চোর বলে সমালোচনা করছে। এদিন হাইকোর্টের রায়ের পর বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীও বলেন, “আমরা তো আগেই বলেছি রাজ্যে চোর লুঠেরাদের সরকার চলছে। যে খানেই হাত দেবেন, তদন্ত করবেন দেখবেন চুরি, ডাকাতি, অনিয়ম। মানুষের টাকা লুটে পুটে খেয়েছে এরা।” গত বছর বিশে মে, আমফানের তাণ্ডবে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তছনছ হয়ে যায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। সর্বস্ব খুইয়ে চারদিকে ত্রাণের জন্য হাহাকার পড়ে যায়! কিন্তু সেই ত্রাণ বিলি নিয়েই স্বজনপোষণ, দুর্নীতির অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দক্ষিণবঙ্গের কবলিত এলাকাগুলি। যার জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। ক্যাগকে তদন্ত করে ৩ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায় বহাল রাখল উচ্চ আদালত। তবে বলা হয়েছে, গ্রহণযোগ্য সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।