শেষ আপডেট: 25th February 2023 05:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: স্কুলের এক শিক্ষিকা বদলির (transfer) জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষিকা (headmistress) গাফিলতি করেন বলে অভিযোগ। এই গাফিলতির দায়ে প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট (High Court)। ৭ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা না দিলে বেতন থেকে কেটে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আউশগ্রামের হাটকীর্তিনগর বালিকা বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হামিদা খাতুন। ২০১৯ সালের জুন মাসে তিনি স্কুলে যোগ দেন। হামিদা খাতুনের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের গোকর্ণ এলাকায়। যেখান থেকে আউশগ্রামের দূরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটার। হামিদা খাতুন জানান, এতদূর থেকে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল বলে বদলির জন্য উৎসশ্রী পোর্টালে আবেদন করেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমার স্কুল থেকে ডিআই অফিস বারবার সবার কাছে অনুরোধ করেছিলাম। কেউ আমায় সহযোগিতা করেনি। যদি স্কুল বা ডিআই অফিস সহযোগিতা করত তাহলে বদলির জন্য আদালতে যেতে হত না।’’
হামিদার আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, তাঁর মক্কেল শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বদলির আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষিকা গুরুত্ব দেননি। সেজন্যই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
২০২২ সালের পয়লা অগস্ট বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন হামিদা খাতুনের বদলির জন্য অফিসিয়াল প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে। অভিযোগ তাতেও কর্ণপাত করেননি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নিরুপমা হাজরা। এরপর আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন হামিদা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে জরিমানার নির্দেশ। ৭ দিনের মধ্যে ওই অর্থ দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জরিমানার অর্থ না দিলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ওই অর্থ বেতন থেকে কেটে হামিদকে প্রদান করবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষিকা নিরুপমা হাজরা বলেন, ‘‘মহামান্য আদালতের নির্দেশকে সম্মান করি। তবে আমি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও গাফিলতি বা ভুল করিনি। অফিসিয়াল কাজ সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ছিলাম।’’
শান্তিপুর হাসপাতালে প্রসবের সময় হাত ভাঙল সদ্যোজাতর, ডাক্তারের বিরুদ্ধে থানায় পরিবার