শেষ আপডেট: 15th October 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনা আবহে বাংলায় বারোয়ারি দুর্গাপুজো বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। শুক্রবার সেই মামলার শুনানির পর রাজ্য সরকারের রিপোর্ট চাইল আদালত। মামলাকারী আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এদিন আদালত বলেছে, ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের কী পরিকল্পনা রয়েছে তা মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে আলাদা করে রিপোর্ট দিতে হবে। সোমবার রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপর আদালত গাইডলাইন ঠিক করে দেবে। মামলাকারীদের তরফে বলা হয়েছে, কেরলের সংক্রমণ ছিল একেবারে কম। কিন্তু ওনাম উৎসবে অনুমতি দেওয়ায় সেখানে হুহু করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। কয়েকটি জেলায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। তা ছাড়া মহারাষ্ট্র সরকারের সিদ্ধান্তের কথাও উল্লেখ করেছেন মামলাকারীরা। তাঁরা বলেছেন, গণেশ চতুর্থি মারাঠা মুলুকের সবচেয়ে বড় উৎসব। সেখানে মহারাষ্ট্র সরকার সেই উৎসবে অনুমতি দেয়নি। এমনিতে চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চ সপ্তাহ দুয়েক আগেই চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁরা আবেদন করেছিলেন, এবার পুজোয় লাগাম টানুক সরকার। তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করে এও বলেছিলেন, রাজ্য সরকার যদি পুজোর ভিড় নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, তাহলে এক ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হবে। হাসপাতালে রোগীদের জায়গা দেওয়া যাবে না। দিল্লি সরকারও চিত্তরঞ্জন পার্কের কালীবাড়ি ছাড়া অন্য কোনও পুজোয় অনুমতি দেয়নি। এমনকি ঘটপুজোতেও না। যদিও মুখ্যমন্ত্রী আগের দিন বলেছেন, দিল্লিতে পুজোর অনুমতি দেয়নি, আমি কিন্তু দিলাম। অনেকের মতে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক ভাবে বন্ধু হলেও প্রশাসক হিসেবে দুজনের চিন্তাধারায় বিস্তর ফারাক রয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনও বলেছেন, কোনও ধর্ম বা ভগবান বলেনি, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাঁকজমক করে উৎসব করতে হবে। তাই ঘরে বসেই উৎসব করুন। এখন দেখার মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের রিপোর্ট পাওয়ার পর কলকাতা হাইকোর্ট কী বলে।