Advertisement
নিজস্ব ছবি
Advertisement
শেষ আপডেট: 18 April 2025 19:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যপাল আসার আগে স্কুল চত্বর থেকে গ্রামবাসীদের সরানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। অভিযোগে রাজ্যপাল ঢোকার আগে গ্রামবাসীদের তুমুল বিক্ষোভ মালদহে। শয়ে শয়ে মহিলা-পুরুষ হাজির হন এদিন। তাঁদের একটাই বক্তব্য, কোথায় যাবে হিন্দুরা? কতদিন অত্যাচার সহ্য করতে হবে? বিক্ষোভের আঁচ নেভেনি একটুও। রাজ্যপাল স্কুলে পারলালপুরের স্কুলে ঢোকার পরও একইভাবে আন্দোলন চলতে থাকে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে ধস্তাধস্তি হয় বলে খবর।
ওয়াকফ নিয়ে গত শুক্রবার উত্তপ্ত হয় মুর্শিদাবাদ। দফায় দফায় বিক্ষোভ ছড়ায় বিভিন্ন এলাকায়। আক্রান্ত বহু পরিবার। এই পরিস্থিতিতে ভয়ে অনেকে পালিয়ে যান এলাকা থেকে। ঠাঁই হয় মালদহের একটি স্কুলে। সেখানে তাঁদের সঙ্গে শুক্রবার দেখা করতে যাওয়ার কথা রাজ্যপালের। তার আগেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। রাজ্যপাল আসার পরও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি।
মালদহে যেখানে মুর্শিদাবাদের মূলত ধুলিয়ানের বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছেন, স্থানীয়দের অভিযোগ, ওদের একরকম বন্দী করে রাখা হয়েছে। বাইরে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। গ্রামবাসীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এর প্রতিবাদেই বিক্ষোভ। ওঠে 'মমতা হঠাও দেশ বাঁচাও স্লোগান।' তাঁদের দাবি, 'হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। কতদিন সহ্য করব। কাল বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছে আজ মুর্শিদাবাদ থেকে। কোথায় যাবে তারা। মমতা কিছু করছে না।'
বিক্ষোভে উপস্থিত একজন বলেন, 'আমাদের বাড়ির পাশে এসব করছে। কতদিন সহ্য করব। আর সহ্য করা যাচ্ছে না। হিন্দু ভাইদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে।'
এদিকে, মালদহ পৌঁছেই শান্তির বার্তা দেন রাজ্যপাল। বলেন, 'যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার বার্তা দিয়েছি। এলাকায় শান্তি ফেরানোর বার্তা দিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলছি, যাঁরা এখানে আছেন। ওদের কী দরকার সেটা বোঝার চেষ্টা করছি। ওদের মনের অবস্থা বুঝতে পারছি, কথা বলে দেখি। পরিস্থিতি বুঝে পদক্ষেপ করা হবে দ্রুত।'
Advertisement
Advertisement