শেষ আপডেট: 27th October 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সপ্তাহ দুয়েক আগেই একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাত্কার দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাতে স্বাভাবিক ভাবেই বাংলার প্রসঙ্গ উঠেছিল। সেই সময়েই কথার পিঠে কথা বলতে গিয়ে শাহ বলেছিলেন, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি অমূলক নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে বাংলায় ৩৫৬ জারির সমস্ত প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। তবে তা হলে সংবিধান মেনেই হবে। এর মধ্যেই বুধবার সন্ধের বিমানে দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান জগদীপ ধনকড়। বিষ্যুদবার তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা অমিত শাহের সঙ্গে। কী নিয়ে বৈঠক তা অবশ্য রাজভবন সূত্রে বলা হয়নি। আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও রাজ্যপাল দেখা করবেন তাও উপর উপর তেমন কোনও বিষয় নেই। কিন্তু অমিত শাহের ওই বক্তব্যের পরে রাজ্যপালের রাজধানী যাত্রা দেখে অনেকেই বলছেন, পুজো মিটতে না মিটতেই বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের জল্পনা ফের উস্কে গেল। রাষ্ট্রপতি শাসনের সাংবিধানিক শর্ত হল, রাজ্যপালকে সেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে। যে কারণে আরও জল্পনা উস্কে গিয়েছে। এর আগেও রাজ্যপাল অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। দিল্লি বয়ে বলে এসেছিলেন বাংলায় আইনশৃঙ্খলা লাটে উঠেছে। বোমা-বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে রাজ্য। ধনকড় রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়ে বাংলায় আসার পর নবান্নের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত নজিরবিহীন জায়গায় গিয়েছে। অনেকে বলেন, গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর সঙ্গে একটা সময় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটেরও সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ধনকড়-মমতা সংঘাতের ধারেকাছে আসে না সেসব । যদিও পর্যবেক্ষকদের মতে, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হোক বিজেপিও চায় না। তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহানুভূতি পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাঁদের মতে, এসব আসলে রাজনৈতিক হাওয়া গরমের কৌশল। এর মধ্যেই আবার জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে ফিরেই নভেম্বরের গোড়া থেকে উত্তর বাংলার জেলায় জেলায় ঘুরবন রাজ্যপাল। একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। বিমল গুরুংয়ের আত্মপ্রকাশ, এনডিএ ছাড়া এবং দিদিকে আবার মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চাওয়ার ঘোষণার পর পাহাড়ের রাজনীতির সমীকরণ বদলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের উত্তরবঙ্গ সফর তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকে। রাজ্যপালের এই দিল্লি সফর নিয়ে শাসকদলের তরফে সরকারি ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া না দেওয়া হলেও তৃণমূল নেতারা ঘরোয়া আলোচনায় বলছেন, রাজ্যপাল স্বরাষ্টমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন না। রাজভবনে থাকা বিজেপির এজেন্ট প্রাক্তন বিজেপি সভাপতির সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন।