শেষ আপডেট: 5th October 2023 18:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবার দিল্লি থেকেই রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবিষয়ে রাজ্যপালের কাছে সময়ও চেয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। শাসকদলের দাবি, সময় চাওয়ার জবাবে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে প্রতিনিধি দল উত্তরবঙ্গে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারে।
রাজ্যপালের কাছ থেকে এমন জবাব পেয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব। মঙ্গলবার দিল্লিতে সময় দিয়েও দেখা না করার অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির বিরুদ্ধে। কেন্দ্রের এই মানসিকতাকে ‘জমিদারি মানসিকতা’র সঙ্গে তুলনা করেছিলেন অভিষেক। অভিষেকের সুরেই এদিন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “জমিদারি মানসিকতা নাকি! রাজ্যপাল বলে উনি যা খুশি করবেন নাকি!”
তৃণমূল নেতৃত্বর বক্তব্য, "কেন্দ্রীয় সরকারের মতো রাজ্যপালের কাছে জবাব দেওয়ার মতো কোনও তথ্য নেই। তাই উনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।"
একশ দিনের বকেয়া আদায়ে ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল। দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রেখেও দেখা না করার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। মন্ত্রীর দেখা না পেয়ে সেখানেই অবস্থানে বসেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পরে তাঁদের চ্যাংদোলা করে থানায় নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ। এরপরই রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক।
সেদিন দিল্লি থেকে অভিযেক জানিয়েছিলেন, রাজ্যপাল কেন্দ্রের প্রতিনিধি। বাংলার ১ লক্ষ মানুষকে নিয়ে ৫ অক্টোবর রাজভবন অভিযান হবে। বুধবার সন্ধেয় কলকাতায় ফিরে অভিষেক ফের জানান, যে ৫০ লক্ষ বঞ্চিত মানুষের চিঠি কেন্দ্রের কাছে নিয়ে গিয়েও ওরা জমা না নেওয়ায় ফেরৎ আনতে হয়েছে, বৃহস্পতিবার সেই চিঠি রাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এরপরই রাজ্যপালের কাছে সময় চেয়ে চিঠি দেন ডেরেক। তৃণমূলের দাবি, রাজ্যপাল কবে ফিরবেন, তা জানতে চেয়েও তাঁকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। জবাবে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, তাহলে উত্তরবঙ্গে এসে দেখা করতে পারেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের এমন মন্তব্যে তীব্র ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব। দুপুরে রাজভবনের কর্মসূচি থেকে এই বিষয়ে অভিষেক কী বলেন, সেদিকে নজর রাখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।