শেষ আপডেট: 1st February 2022 13:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সকালে পুজো হয়েছিল। দুপুরেও সব ঠিক ছিল। সন্ধেয় ঠাকুর ঘরের আলো জ্বালতে গিয়ে দেখা যায় আসনে হর পার্বতীর বিগ্রহ নেই। রহস্যজনকভাবে প্রাচীন হর পার্বতীর সোনার মূর্তি চুরির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চুঁচুড়া থানার পুলিশ।
জানা গেছে, চুঁচুড়ার তালডাঙা দাসপাড়ার গাঙ্গুলি বাড়ির প্রায় আশি বছরের পুরোন সোনার শিব দুর্গা মূ্র্তি চুরি হয় গত রবিবার। গৃহকর্তা তুহিন গাঙ্গুলি, তাঁর স্ত্রী পায়েল গাঙ্গুলি ও তাঁদের পাঁচ বছরের ছেলে সারাদিন বাড়িতেই ছিলেন। সেসময় ঠাকুর ঘরে শিবদুর্গা ছাড়াও অন্যান্য বিগ্রহের নিত্যপুজো হয়। একজন পুরোহিত সকালে আসেন পুজো করতে। সেদিনও পুজো করে চলে যান। পায়েলদেবী স্নান করে ঠাকুর প্রণাম করেন। সন্ধেবেলায় ঘরের আলো জ্বালতে গিয়ে দেখেন সিংহাসনে শিবদুর্গার বিগ্রহ নেই। সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয়। তখন বুঝতে পারেন চুরি হয়েছে। এরপরই পুলিশে জানান।কী করে ঘরের ভিতর থেকে শিবদুর্গা বিগ্রহ চুরি হয়ে গেল বুঝে উঠতে পারছেন না গাঙ্গুলি দম্পতি। বাড়িতে আত্মীয়রা মাঝেমধ্যে আসেন। বাড়িতে পরিচারিকা আছে। পাড়ার লোকজন জন্মদিন অন্নপ্রাশন বা শুভ কাজ থাকলে আসেন। তাই সবার জন্যই অবারিত দ্বার গাঙ্গুলীবাড়ির। কিন্তু কে এই প্রাচীন দুর্মূল্য মূর্তি চুরি করল তা বুঝে উঠে পারছে না তারা।
যাঁরা ওই বাড়িতে আসেন তাদের তালিকা তৈরি করে তদন্ত শুরু করেছে তদন্তকারীরা। তাদের মধ্যে কারও অ্যান্টিক বস্তু সংগ্রহের নেশা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক অনুমান, কোনও পরিচিত লোকের কাজ হতে পারে। কারণ গাঙ্গুলি বাড়ির অন্দর মহলে ঠাকুর ঘর। সেখানে যেতে গেলে কারও নজরে পড়বেই। ঠাকুরঘরে যাদের ঢোকার অনুমতি আছে তাদের মধ্যেই কেউ বিগ্রহ চুরি করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।