শেষ আপডেট: 22nd September 2023 18:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দুধ ব্যবসার সম্প্রসারণের জন্য কলকাতা সংলগ্ন এলাকায় জমি কিনতে গিয়ে এক কোটি টাকার প্রতারণার (fraud) অভিযোগ এনে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ, গুরুতর মামলায় পুলিশ দায়সারা (police inaction) ভাবে তদন্ত সেরে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছিল। সুবিচারের আশায় এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বেলেঘাটার হেম চন্দ্র নস্কর রোডের বাসিন্দা রাজেন্দ্র কুমার সারাওগি।
শুক্রবার ওই মামলার শুনানিতে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় (police inaction) তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। একই সঙ্গে স্থানীয় থানার পরিবর্তে হাওড়ার (গ্রামীণ) পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
রাজেন্দ্রর অভিযোগ, মিঠুন দত্ত নামে এক পরিচিত ঠিকাদার মারফত ওই প্রতারনা চক্রের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাঁরা চার ব্যক্তিকে জমির মালিক সাজিয়ে তাঁর কাছে নিয়ে আসে। রাজেন্দ্রর সঙ্গে তাদের মোট ৪টি চুক্তিপত্র সাক্ষরিত হয়। যে জন্য তাঁর কাছ থেকে অগ্রিম ১ কোটি টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু পরে জানা যায় ওই চুক্তিপত্রগুলি ভুয়ো। এরপরই পুলিসে লিখিত অভিযোগ জানান রাজেন্দ্র।
যার ভিত্তিতে তদন্ত করে নিম্ন আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। ওই চার্জশিটে সন্তুষ্ট না হতে পেরে নিম্ন আদালতে আবেদন জানালেও তা খারিজ হয়ে যায়। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। মামলার শুনানিতে যাবতীয় বৃতান্ত শোনার পর বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশে জানিয়েছেন, যে প্রক্রিয়ায় তদন্ত চলেছে তা সঠিক নয়। হাওড়ার(গ্রামীণ) পুলিসে সুপারের নেতৃত্বে নতুন করে তদন্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: অল্প চোট থেকে মৃত্যু, এক দশক পর সবেতেই ১০ গুণ ক্ষতিপূরণ বাড়াল রেল