শেষ আপডেট: 4th June 2023 14:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: সামান্য উপার্জনে টেনে টুনে চলছিল সংসারের খরচ। তাই বেশি টাকা উপার্জনের আশায় কেরলে কাঠের কাজ করতে যাচ্ছিলেন ভাতারের বলগোনা গ্রামের বাসিন্দা শঙ্কর রায়। তিনিও অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসেই ছিলেন। ২ তারিখের ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় হাতে-পায়ে চরম আঘাত লাগলেও সৌভাগ্যবশত বেঁচে যান। পরিবারের সঙ্গে ফোনে জানিয়েছেন, তিনি বেঁচে আছেন। সে খবর পেয়েই তাঁকে ওড়িশা থেকে বর্ধমানে আনতে ছুটেছেন আত্মীয়রা। কিন্তু টাকার অভাবে শঙ্করবাবুকে ফেরাতে পারছেন না তাঁরা।
আহতের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, শঙ্করবাবুকে ওড়িশা থেকে ফেরাতে ১৫ হাজার টাকা চাইছে অ্যাম্বুল্যান্স। কিন্তু এত টাকা খরচ করার সামর্থ নেই তাঁদের। তাই ঘরের লোককে ফেরাতে চরম সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।
গ্রামের বাড়িতে বসে শঙ্করবাবুর স্ত্রী বন্দনা রায় জানান, তাঁর স্বামী শঙ্কর রায় কাঠমিস্ত্রি। গ্রামে কাজ করে তেমন উপার্জন হচ্ছিল না। কেরলে মজুরি বেশি থাকায় সেখানে কাজ করতে যাচ্ছিলেন শঙ্কর। কিন্তু মাঝে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। ওড়িশার হাসপাতালে চিকিৎসা চললেও বর্ধমানে ফেরাতে চান স্বামীকে। টাকার অভাব থাকায় জখম স্বামীকে তিনি বাড়ি ফেরাতে পারছেন না। দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি দিশেহারা।
যদিও পরিবারের অসহায়তার খবর পেয়েই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, ভাতারের বিডিও সহ জনপ্রতিনিধিরা বন্দনাদেবীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁরা সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এখন শঙ্করবাবুকে ফেরাতে তাঁরা কী ব্যবস্থা নেয়, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে জখম যাত্রীর গোটা পরিবার।
করমণ্ডল দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশ রেলমন্ত্রীর, সকালেই কারণ খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন