শেষ আপডেট: 17th May 2023 15:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: একশো টাকার পরিবর্তে এবার দিতে হবে পাঁচশ টাকা জরিমানা। বিদ্যুৎ দফতরের (Electric Office) এমন নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকে এই নির্দেশিকাকে ‘তুঘলকি’ সিদ্ধান্ত বলে কটাক্ষ করছেন। ইতিমধ্যেই বর্ধমানের (Burdwan) একাধিক সেক্টর অফিসে এই বিজ্ঞপ্তি ঝোলানো হয়েছে।
রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, সময়মতো বিল জমা না করলে এতদিন নোটিস দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হত। ফের সংযোগ করতে গেলে একশো টাকা জরিমানা দিতে হত। এবার সেই জরিমানাই বাড়িয়ে পাঁচশ টাকা করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে এই নতুন নিয়ম চালু হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন গ্রাহকরা।
প্রতিটি সেক্টর অফিসগুলির বিল সেকসনে গেলেই কাউন্টারের কাচে সাঁটানো রয়েছে এই নয়া নোটিস। বিল মেটাতে গিয়ে নোটিস দেখেই হতভম্ব হয়ে যাচ্ছেন গ্রাহকরা। বিমল মণ্ডল নামে এক গ্রাহক বলেন, অনেক গরিব মানুষ আছেন, যারা সময়ে বিদ্যুৎ বিল মেটাতে পারে না, তাঁরা চরম সমস্যায় পড়েছেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেকেই।
এমনিতে তাপপ্রবাহের কারণে বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ছে। বিদ্যুতের খরচ কমাতেই কি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ পর্ষদ? সেই কথাই ঘোরা ফেরা করছে গ্রাহকদের মুখে।
বর্ধমান বিদ্যুৎ দফতরের সেক্টর ৩ এর স্টেশন সুপারিটেন্ডেন্ট সৌনাভ পাল জানান, ১ এপ্রিল থেকে এই নতুন নিয়ম লাগু করা হয়েছে। সোমবার এই বিজ্ঞপ্তি তাঁদের কাছে এসে পৌঁছেছে।
বিদ্যুৎ দফতরের এই সিদ্ধান্তে সবর হয়েছে বিজেপি। জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, ‘এরা আইন কানুন মানে না। বার বার আদালতের কাছে মুখ পুড়ছে, তারপরেও যা খুশি তাই করছে। এমনিতেই রাজ্যে বিদ্যুতের দাম বেশি। অনেক গরিব মানুষ সময়ে বিল মেটাতে পারে না। তাদের উপর আরও বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরা মুখে এক বলে, কাজে এক করে। এটা গরিব মানুষকে শোষণ করা ছাড়া আর কিছু না। সরকার এই ধরনের ফাইনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের টাকা নিয়ে আবার সেই টাকা দিয়ে লক্ষীভাণ্ডার দিচ্ছে। সমস্যা মেটাতে বিষয়টির আইনি দিক দেখে ব্যবস্থা নেব।’
বিজেপির দাবিকে নস্যাৎ করে জেলা তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের সাফাই, ‘এটা শুধুমাত্র সেই সব গ্রাহকদের জন্য যাঁরা সময়ে বিদ্যুৎ বিল দেন না। তবে কী কারণে ফাইন বাড়ানো হয়েছে সেটা বিদ্যুৎ দফতর ভাল বলতে পারবে।’
মেরামতির সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল তমলুকের ভগ্নপ্রায় সেতু! চলছে উদ্ধারকাজ