শেষ আপডেট: 10th July 2023 10:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এখনও পর্যন্ত ভোটের হিংসায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। এদের মধ্যে সিংহভাগই শাসকদল তৃণমূলের। আজ সোমবার পুনর্নির্বাচনের দিনও মৃত্যু হয়েছে সিজারুল সেখ সেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীর। মুর্শিদাবাদের রানিনগরের ওই তৃণমূল কর্মী ভর্তি ছিলেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এদিন সকালে সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। রানিনগরের এই ঘটনাকে সামনে রেখেই বিরোধীদের উদ্দেশে পাল্টা সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছেন তৃণমূলের প্রথমসারির নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
বস্তুত, আজ পুনর্নির্বাচনের দিনও শাসকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছে বাম-কংগ্রেস, বিজেপি সহ বিরোধীরা। বিভিন্ন জেলায় ছাপ্পা ভোটের অভিযোগও উঠছে। সেই প্রসঙ্গেই ফিরহাদের (Firhad Hakim) পাল্টা ব্যাখ্যা, টোটাল গোলমাল উস্কানি থেকে হল। যদি আমরা অ্যাটাক করতাম, তাহলে আমরা আক্রান্ত হতাম না। দাবি করেছেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট চেয়েছি। সিপিএম ছাপ্পা দিচ্ছে। আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। তাতে আক্রান্ত হয়েছি।”
ভোটের দিন অশান্ত রানিনগরে আক্রান্ত হন তৃণমূল কর্মী সিজারুল সেখ। মারধরের অভিযোগ ওঠে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত সিজারুলের চিকিৎসা চলছিল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রবিবার অ্যাম্বুলেন্সে করে কলকাতা নিয়ে আসা হচ্ছিল। কিন্তু বেলডাঙ্গার কাছে কংগ্রেসের রাস্তা অবরোধে আটকে পরে সিজারুলের অ্যাম্বুলেন্স। ফলে কলকাতার পরিবর্তে ফের তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন ভোর রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল কর্মীর।
ওই প্রসঙ্গ টেনেই ফিরহাদ (Firhad Hakim) বলেন, একজন আহতকে রানিনগর থেকে কলকাতায় নিয়ে আসতে দিল না। পথ অবরোধ করে দিল। এই হত্যার দায় কার? একজন আক্রান্ত, যাকে বিরোধীরা মেরেছে, হয়তো কলকাতা পর্যন্ত এলে প্রাণে বেঁচে যেতে পারত। তাকে আটকে দিল। মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিল। যারা অবরোধ করল, তাদের নিশ্চিতভাবে ৩০২ হওয়া উচিত।
এক্ষেত্রে পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেন? জবাবে বিরোধীদের পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের একাংশকে আক্রমণ করে ফিরহাদ বলেন, “এটা একটা বৃহত্তর চক্রান্ত। আমি বারবার বলছি, আপনারা (মিডিয়া) দেখাবেন না ঠিক মতো। যারা উস্কানি দিচ্ছে, তাদের চক্রান্ত। যারা বাংলাকে বদনাম করতে চায়, তাদের চক্রান্ত।” এই প্রসঙ্গেই ‘দিলীপ ঘোষ মর্নিংওয়াক করেন, আর মিডিয়া গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে’, বলেও কটাক্ষ করেন কলকাতার মেয়র।
আরও পড়ুন: পুনর্নির্বাচনেও বুথের বাইরে স্বমহিমায় পান্ডুয়ার ব্লক তৃণমূল নেতা! গণনার পরে খেলার হুঁশিয়ারি