শেষ আপডেট: 26th August 2022 08:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সিবিআই-ইডি সওয়াল-জবাব আর আকচাআকচিতে এখন হঠাৎই জমজমাট বাংলার রাজনীতি। শুক্রবার এক প্রস্ত হয়ে গেল সুকান্ত মজুমদার-ববি হাকিমের মধ্যে (Sukanto-Firhad)।
বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanto Majumder) বলেন, জেলে এখন পার্থ-অনুব্রতদের ঘন ঘন ডাক্তারের দরকার পড়ছে। কিন্তু চিন্তা নেই, শিগগির হাকিমকে জেলে পাঠানো হবে।
শুক্রবার এই কটাক্ষের জবাবেই পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, কোন মামলায় ফাঁসানো হবে বলে দিন। মনে হচ্ছে আপনিই তালিকা তৈরি করছেন। কী ষড়যন্ত্র করছেন বলুন!
বস্তুত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর রাজ্য রাজনীতির অন্দরে এখন সবার কৌতূহল যে এর পর নিশানায় কে আছে? বিশেষ করে শুভেন্দু অধিকারী বা সুকান্ত মজুমদাররা যে ভাবে রোজ জুজু দেখানোর মতো বলছেন, ‘আরও অনেকে ঢুকবে’, তাতে কৌতূহল প্রবল হচ্ছে।
বৃহস্পতিবারও বহরমপুরে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার এক সভায় বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। তাঁরা রোজ রোজ জেলের ডাক্তারখানায় যাচ্ছেন। তাই এবার হাকিমকে ভিতরে ঢোকাতে হবে।’ এরপরই দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে সুকান্ত বলেন, ‘জোড়াফুলে একজন হাকিম আছে জানেন কি?’ সঙ্গে এও বলেন, ‘ওঁকেও প্রস্তুত থাকতে বলুন। ওঁকেও আমরা ভিতরে ঢোকানোর ব্যবস্থা করব। জেলের হাসপাতালে কাউকে আর যেতে হবে না। হাকিম সাহেব ডাক্তারি করবেন।’
এরই জবাবে শুক্রবার ফিরহাদ হাকিম বলেন, যে যা পারছে বলে দিচ্ছে। মিডিয়া ট্রায়াল শুরু হয়ে গেছে। বলা হচ্ছে, আমাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে, আমার বাড়িতে তল্লাশি চলছে। এত আনন্দ কীসের বুঝতে পারছি না!
এখানেই থামেননি পুরমন্ত্রী। একপ্রকার সাফাই দেওয়ার মতো করে তিনি বলেন, “কি এমন অন্যায় করলাম যে সব সময় আমাকে হেনস্থা করা হবে! ববি হাকিম তৃণমূল কংগ্রেস করে মানেই অসাধু। আর সুকান্তবাবুর দলে গেলেই সাধু?”
এ পর্যন্তও ব্যাপারটা রাজনৈতিক আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের মতই ছিল। কিন্তু শেষ দিকে অভিমানী স্বর শোনা যায় ববি হাকিমের কণ্ঠে। তিনি বলেন, “আমার জেলে যেতে ভয় লাগে না। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মেছি৷ তাই সম্মানহানির ভয় লাগে৷ আসুন আমাকে ঢুকিয়ে দিন। আসুন আপনি নিজে আসুন সুকান্তবাবু। আপনিও কারও স্বামী। কারও বাবা। আমিও তাই”।