দ্য ওয়াল ব্যুরো: কারখানার কর্তারা বলছেন, ঘরশত্রু বিভীষণ। আর পুলিশ কর্তাদের বক্তব্য, সর্ষের মধ্যেই এত ভূত!
দেশের অন্যতম অস্ত্র নির্মাণ কারখানা, ইছাপুর অর্ডন্যান্স ফ্যাকটরি থেকে অস্ত্র পাচারের অভিযোগ উঠল। লালবাজার সূত্রের খবর, এই কারখানায় তৈরি হওয়া অস্ত্র বিহার ও ঝাড়খণ্ড হয়ে সরাসরি পৌঁছে যেত মাওবাদীদের হাতে> কারখানার দু’জন ঠিকাকর্মী-সহ গ্রেফতার হয়েছে মোট ছ’জন। তাদের কাছ থেকে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাকটরিতে তৈরি হওয়া আটটি আগ্নেয়াস্ত্র মিলেছে বলেও সূত্রের খবর। ধৃতদের মধ্যে দু’জনের নাম সুশান্ত বসু এবং শুকদা মুর্মু। সুশান্ত বসু ওই ফ্যাকটরির জুনিয়র ওয়ার্কস ম্যানেজার। শুখদাও নিচু তলার কর্মী ছিলেন।
ইছাপুর ২৩৫ মল্লিক ভিলা এলাকার বসিন্দা সুশান্ত। সুশান্তর ভাই প্রশান্ত বলেন,"রবিবার রাত ১১টা নাগাদ লালবাজার থেকে পুলিশ এসে তুলে নিয়ে যায় দাদাকে। কিছু জিজ্ঞেস করলে, উত্তর মেলেনি।" ওই রাতেই ইছাপুর গোয়ালা পাড়া থেকে ধরা পড়ে শুখদা মুর্মু। এ দিন তার বাড়িতে গেলে কেউ দরজা খোলেনি বলে জানা গিয়েছে।
এ পর্যন্ত বহু বারই মাওবাদী দমন অভিযানে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। নানা রকম অত্যাধুনিক অস্ত্রের ভাণ্ডার রীতিমতো চমকে দিয়েছে তদন্তকারীদের। প্রশ্ন উঠেছে, এ সব তারা পেল কোথায়!
তদন্তের একটি সূত্র ধরে উঠে আসে ইছাপুর রাইফেল কারখানার নাম। কড়া নজর রাখতে শুরু করেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। খবর পেয়ে নড়ে বসে কারখানার কর্তারাও। রবিবার রাতে বাবুঘাট থেকে ধরা পড়ে ছ’জন। তাদের মধ্যে দু’জন বিহারের বাসিন্দা। তবে এই অস্ত্র-পাচার চক্রের মূল পাণ্ডা এখনও অধরা বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তে জানা গিয়েছে, অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির একটি বড় চক্র অনেক দিন ধরেই সক্রিয়, যাঁরা অস্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ বা অস্ত্র বাইরে পাচার করেন মোটা টাকার বিনিময়ে।