শেষ আপডেট: 6th June 2023 05:29
কলকাতা পুলিশের দুই এসআই-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর, থানায় এনে সন্তানদের সামনে বেধড়ক মার
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ডিভোর্সি স্ত্রিকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন দুই অফিসার। মানতে রাজি না হওয়ায় থানায় তুলে এনে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। বিএসএনএল-র ঠিকা কর্মী সদাশিব জানা অভিযোগ করেছেন, তাঁর নাবালক সন্তানদের সামনেই বেধড়ক মারে পুলিশ। মেরে পা ভেঙে দেয়। এখন তিনি প্রতিবন্ধী হয়ে দিন কাটাচ্ছেন, চাকরিও চলে গেছে। ঘটনায় কলকাতা পুলিশের দুই এসআই-সহ চার জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর দায়ের হয়েছে।
অভিযুক্ত এই দুই পুলিশ অফিসার হলেন, কেএলসি থানার সাব ইন্সপেক্টর অনিরূদ্ধ সিংহ রায় এবং সুনীতা পাল। বাকি দুই অভিযুক্ত ওই থানারই সিভিক বলে জানা গেছে। চারজনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর দায়ের হয়েছে।
এই ঘটনার সূত্রপাত ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর। সদাশিব বাবুর অভিযোগ, লকডাউনের সময় তাঁর নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে তাঁকে ও তাঁর দুই নাবালক সন্তানকে থানায় তুলে আনেন দুই এসআই। কেএলসি থানার এসআই অনিরুদ্ধ সিংহ রায় দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে দিয়ে ওই কাজ করিয়েছিলেন বলে দাবি। সদাশিব বাবু বলেছেন, থানায় তুলে এনে তাঁকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তাঁর বিবাহবিচ্ছিন্না স্ত্রীকে ফের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তিনি মানতে রাজি না হওয়ায় ভয়ও দেখানো হচ্ছিল তাঁকে। বিএসএনএল কর্মীর দাবি, তাঁকে গ্রেফতার করে বাচ্চাদের হোমে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন।
হুমকিতে কাজ না হওয়ায় সদাশিব বাবুকে মারধর করতে শুরু করেন অফিসাররা। অভিযোগ, তাঁকে সদাশিববাবুকে কিল, চড়, ঘুষি এবং ক্রমাগত লাথি মেরে তাঁর বাম পা ভেঙে দিয়েছেন অফিসাররা। তারপর জোর করে স্ত্রীকে তাঁর বাড়িতে পাঠিয়েছেন। ঘটনার পর দেড় বছর কেটে গেলেও, সদাশিবের ভাঙা পা এখনও ঠিক হয়নি। তিনি এখন ‘প্রতিবন্ধী’। তাঁকে ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটাচলা করতে হয়। এদিকে, ‘প্রতিবন্ধী’ হওয়ায় বিএসএনএলের কাজ খুইয়ে তিনি এখন বেকার। সদাশিববাবুর দাবি, তৎকালীন ডিসি (ইডি) গৌরব লালের কাছে অভিযোগ জানালেও প্রতিকার মেলেনি।
গত বছর বারুইপুর আদালতে ফৌজদারি আইনের ১৫৬ (৩) এসআই অনিরুদ্ধ সিংহ রায় সহ অন্য
পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, বেআইনিভাবে আটকে রাখা, গুরুতর আঘাত করা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে পিটিশন দাখিল করেন সদাশিববাবু। যার ভিত্তিতে গত ১১ মে এসিজেএম বারুইপুর আদালত অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
ব্রিজভূষণের বাড়িতে দিল্লি পুলিশ, অভিযোগ প্রত্যাহার নাবালিকা কুস্তিগিরের