শেষ আপডেট: 25th September 2023 12:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আজ থেকে বছর ত্রিশ আগের উত্তর কলকাতার ছবিটার সঙ্গে ২০২৩-এর উত্তর কলকাতাকে মেলানো কঠিন। নয়ের দশকের গোড়ার দিকেও পাড়া (Felu Mittir Lane) বিষয়টার সঙ্গে নিজেদের একাত্ম করতে পারত বাঙালি। উত্তর কলকাতার বিশাল উঠোন এবং অনেক ঘর ভাড়াটে যুক্ত বনেদি বাড়ি, পাড়ার প্রত্যেক বাড়ির লোকজনদের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক, একজন বেকার ছেলে যাকে দিয়ে পাড়ার মেয়ে-বউরা খুঁটিনাটি জিনিস আনিয়ে নেন, আর সেলাই মেশিন, এই সবকটি জিনিসই তখন বেশ পরিচিত ছিল সকলের কাছেই।
তবে সেই সময় পাল্টেছে। আজকের প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের ক'জন সেলাই মেশিন দেখেছে তা হাতে গুনে বলা যায়। আজ আর চোখে পড়ে না তেমন কোনও বেকার দাদাও যে পাড়ার মেয়ে বউদের ইলেকট্রিক বিল জমা দেওয়া থেকে রিচার্জ করিয়ে দেওয়ার মতো খুঁটিনাটি কাজগুলো করে দেবে হাসিমুখে। জীবন এখন ফ্ল্যাটবাড়িতে বন্দি।
ইতিমধ্যেই ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে সিরিজের ট্রেলার। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গল্পের নায়ক ফেলু এমনই এক ছেলে যে কিনা সবেতেই ব্যর্থ। চাকরি জোটাতে না পেরে অবশেষে সে সেলাই মেশিনে দর্জির কাজ শুরু করে। তবে বিয়েতে আপত্তি ফেলুর। অন্যদিকে ফেলুর বাবাকেও পাড়ার লোকেরা রাগিয়ে দিতে মজা করে পানু বলে ডাকে। প্রসঙ্গত, নাম নিয়ে এমন মজায় ছদ্ম রাগ করলেও একটা সময়ে এই ছোটখাটো বিষয়গুলি নিয়ে মাথা ঘামাতেন না কেউই।
ফেলুর সঙ্গে যখন বিয়ে নিয়ে বাবার সঙ্গে খিটিমিটি লেগেই আছে তখনই ফেলুর জীবনে আসে চাঁপা। টমবয় প্রকৃতির চাঁপার সঙ্গে কীভাবে প্রেম জমে উঠল ফেলুর, আর চলতি দশকের শুরুর দিকের ভীষণ পরিচিত সমস্যা প্রমোটারের হাত থেকে পাড়ার লোকেরা একজোট হয়ে কীভাবে বাঁচাল বাড়িকে, এর উত্তর লুকিয়ে আছে এই সিরিজে।
'ফেলু মিত্তির লেন'-এ মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ধারাবাহিকের চেনা মুখ দেবজ্যোতি রায়চৌধুরী। চাঁপার ভূমিকায় রয়েছেন শতাক্ষী নন্দী। ফেলুর বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন লোকনাথ দে। ওয়েবসিরিজটি পরিচালনা করেছেন অরিজিত টোটন চক্রবর্তী। আগামী ১১ অক্টোবর প্ল্যাটফর্ম এইটে মুক্তি পাচ্ছে 'ফেলু মিত্তির লেন'।
মিড ডে মিলের লোভ দেখিয়ে শিক্ষা হয়না, চার্বাকের 'চিচিং ফাঁক' নাটকে হাসির আড়ালে প্রতিবাদের ভাষা