শেষ আপডেট: 15th February 2023 13:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতা শহরে ভুয়ো সিবিআই অফিসার, নকল পুলিশ—এসব অনেক ধরা পড়েছে। কসবার দেবাঞ্জনের স্মৃতি এখনও টাটকা। কিন্তু তাই বলে ভুয়ো বিধায়ক (Fake MLA)? তাও কিনা ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিধানসভার লবিতে? বুধবার বাজেট অধিবেশনের দিন এমনই ঘটনা ঘটল রাজ্য বিধানসভায়।
এদিন দেখা যায় বিধানসভার লবিতে এক ব্যক্তি ইতস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পরনে খয়েরি প্যান্টের সঙ্গে সাদা ফুলস্লিভ শার্ট ইন করে পরা। তার উপর চাপানো একটা কালো ওভারকোট। মাথায় কাঁচাপাকা চুল। চোখে চশমা। মফস্বলের দিকের বিধায়কদের চেহারার সঙ্গে মিলও রয়েছে বিস্তর।
কিন্তু বিধানসভার পুলিশকর্মীরা মোটামুটি সবাইকে চেনেন। দেখে মনে হচ্ছে এই ভদ্রলোকের বয়স বছর ৬৫ মতো হবে। পুলিশকর্মীরা তাঁকে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কে? তিনি বলেন, ‘আমি বিধায়ক।’
কিন্তু এমন বিধায়ককে তো আগে দেখেননি তাঁরা। এরমধ্যে উপনির্বাচনও হয়নি যে নতুন কেউ জিতে এসেছেন। তারপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে জানা যায় তাঁর নাম গজানন শর্মা। বিধানসভার ভিতর পুলিশ কিয়স্কে বসিয়ে গজানন জিজ্ঞাসাবাদ করার পর হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ তাঁকে আটক করে। তাঁর বাড়ি কোথায়, কী করেন, কেন তিনি বিধানসভায় ঢুকেছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
সাধারণত বিধানসভায় প্রবেশ করতে গেলে পাস লাগে। যে কেউ দুম করে ঢুকে পড়তে পারেন না। কিন্তু নিরাপত্তার বেড়া ডিঙিয়ে কী করে গজানন লবি পর্যন্ত পৌঁছে গেলেন সেটাও প্রশ্ন।
পরে অবশ্য পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, এই ব্যক্তির বাড়ি হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডে। মেয়ে ও নাতনির কাছে থাকেন। তিনি ২০২০ সালে একমাত্র ছেলেকে হারিয়েছেন। ২০২১ সালে তাঁর স্ত্রী বিয়োগ হয়। তারপর থেকেই গজানন মানসিকভাবে কিছুটা অসংলগ্ন। কিছুক্ষণ কথা বলার পর পুলিশের কাছেও তা স্পষ্ট হয়ে যায়। তারপর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় হেয়ার স্ট্রিট থানা।
ডিএ ঘোষণার পর গর্জে উঠল সরকারি কর্মচারীদের অনশন মঞ্চ, ‘এই ভিক্ষা নিচ্ছি না’