শেষ আপডেট: 25th November 2020 10:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বেশ কয়েক মাস ধরে একটানা বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। করোনার আক্রমণে রীতিমতো অনিশ্চিত অবস্থায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের পঠনপাঠন। অথচ ক্রমে এগিয়ে আসছে বোর্ডের পরীক্ষা দিন। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা কীভাবে হবে, কতটা সিলেবাসের ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুতি নেবে পড়ুয়ারা, এটা এখন সারা দেশেই বড় প্রশ্ন। ব্যতিক্রম নয় এ রাজ্যও। এই চিন্তাভাবনা থেকেই আজ, বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি এদিন ঘোষণা করেন, ২০২১ সালে যে সব পড়ুয়ারা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে, তাদের সিলেবাস ৩০-৩৫ শতাংশ কম করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সুপারিশে এই সিদ্ধান্ত শিক্ষা দফতরে গৃহীত হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে ঠিক কোন অংশের সিলেবাস বাদ গেল, তা এখনও জানা যায়নি। পার্থবাবু জানান, কোন কোন বিষয়ের কোন কোন অধ্যায় বাদ থাকবে সিলেবাস থেকে, তা শিক্ষা সংসদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। সেই মার্চ মাস থেকে লকডাউন শুরু হওয়ার পরে স্কুল বন্ধ সারা দেশে। আট মাস পরে এই নভেম্বর থেকে দেশের কোনও কোনও রাজ্যে স্কুল খুলতে শুরু করেছে। তবে তার কোনওটিই নিয়মিত নয়। কোথাও স্কুল খুলে সমস্যায় পড়েছে সরকার, কোথাও আবার নতুন করে বেড়েছে কোভিডের প্রকোপ। এই অবস্থায় এ রাজ্যে কবে স্কুল খোলা হবে, তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী এদিন জানান, অনলাইন ক্লাসই এখন ভরসা। তবে স্কুলভবনগুলিকে আপাতত ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। কোভিডের প্রকোপ কমলে তবে খোলার কথা ভাবা হবে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তার পরে তাঁদের মতামত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সবটা আলোচনা করা হবে। তার পরেই সিদ্ধান্ত। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘সিলেবাস কমিটি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের প্রস্তাব মেনে ২০২১ এর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাতে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ সিলেবাস কমানো হবে। বিভিন্ন অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে থেকে সিলেবাস কমানোর অনুরোধ আসছিল। তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।"