শেষ আপডেট: 25th September 2023 15:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ক'দিন আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছিল যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Abhishek Banerjee) হলেন, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের (Leaps and Bounds) চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার। ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছিল, এই কোম্পানির মাধ্যমেই সন্দেহজনক লেনদেন হত।
সোমবার এ ব্যাপারে মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, ইডির তো অনেক ক্ষমতা রয়েছে। একটা কোম্পানি থেকে এত সন্দেহজনক লেনদেন হওয়ায় তাদের অ্যাকাউন্ট সিল করা বা ফ্রিজ করার ব্যাপারে কখনও কি ইডি ভেবেছে? জবাবে ইডির অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর মিথিলেশ কুমার মিশ্র বলেন, অপরাধ থেকে পাওয়া টাকা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। অর্থাৎ সেটা প্রমাণ করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন তাঁরা।
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সম্পত্তি, ভ্যালুয়েশন, ডিরেক্টরদের সম্পত্তি খতিয়ে দেখার ক্ষেত্রে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে এদিন ইডিকে যারপরনাই ভর্ৎসনা করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি বলেন, ১৮ মাস হয়ে গেছে এ ব্যাপারে তদন্ত করছে ইডি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাজের কাজ কিচ্ছু হয়নি। এভাবে চললে তদন্ত আদৌ কোনওদিন শেষ হবে কিনা তাঁর সন্দেহ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ তদন্তে আরও অফিসার চাই, বিচারপতি সিনহার ধমকের মুখে বললেন ইডি অফিসার
এমনকী ইডির উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, “আমি কেমন যেন একটা গন্ধ পাচ্ছি। আমার তো সন্দেহ যে আপনারাই তথ্য গোপন করছেন।”
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলে আগেই দাবি করেছিলেন অভিষেক। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতির ১০ পয়সাও ওই অ্যাকাউন্টে ঢোকার প্রমাণ করতে পারবে না ইডি। তবে ইডির তদন্তকারীদের প্রতি আমার কিছু বলার নেই। ওঁরা ওঁদের কাজ করছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই আমাকে হেনস্থা করা হচ্ছে।
তবে ঘটনা হল, এদিন ইডি ও সিবিআইয়ের উপর চাপ তৈরি করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু তা নয়, বিচারপতি সিনহা এও জানতে চেয়েছেন যে তদন্ত দ্রুত শেষ করতে আরও কত অফিসার নিয়োগ করতে হবে তা জানাতে হবে ইডিকে।
আরও পড়ুন: ইডি অফিসারকে বেনজির ভর্ৎসনা বিচারপতি সিনহার, কেমন গন্ধ পাচ্ছি, আপনারা তথ্য লুকোচ্ছেন!