শেষ আপডেট: 27th September 2022 14:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পশ্চিম বর্ধমান: প্রায় পৌনে চারশ বছর আগের কথা। দুর্গাপুরের গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন বৈদ্যনাথ চট্টোপাধ্যায়। এ গ্রামে ধুমধাম করে পুজো (Durga Pujo 2022) শুরু তাঁরই সময়ে। কিন্তু বড় মেয়ে বুড়িকে অকালে হারিয়ে শোকে দুঃখে ভেঙে পড়েন তিনি। ঠিক করেন আর দুর্গাপুজো করবেন না। কথিত আছে সেইসময় নাকি বৈদ্যনাথবাবু স্বপ্নাদেশ পান, 'বুড়ির মুখ আমার মুখে দেখতে পাবি। আমি তোর মেয়ে হয়েই পুজো নেব।' সেই স্বপ্নাদেশেই ফের পুজো শুরু করেন বৈদ্যনাথ চট্টোপাধ্যায়।
সেই থেকে দুর্গাপুরের (Durgapur) গোপালপুর গ্রামের একেবারে মধ্যস্থলে অবস্থিত দুর্গা মন্দির 'বুড়িমা'র মন্দির নামে পরিচিত হয়। আজও এখানকার দুর্গাপুজোকে বুড়িমার পুজো বলা হয়। আগের জাঁকজমক না থাকলেও রীতিমতো ধুমধাম করে এখনও এই পুজো হয়। সপ্তমীতে হোমযজ্ঞ এই পুজোর বিশেষ আকর্ষণ।
একসময় এই যজ্ঞে বারোশ কেজি ঘি পুড়তো। এখন অতটা না হলেও ১০০ কেজি ঘি দেওয়া হয় হোমে। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে আশেপাশের প্রায় ৫০ গ্রামের বাসিন্দাদের আজও অন্নভোগ খাওয়ান বৈদ্যনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বংশধরেরা।
এই পুজো নিয়ে গ্রামের মানুষের মধ্যে উন্মাদনার শেষ নেই। শুধু ওই গ্রাম নয়, আশেপাশের গ্রামের মানুষেরাও ভিড় করেন এই মন্দিরে। কলকাতা থেকেও দর্শনার্থীরা ছুটে যান এই পুজো দেখতে।
প্রকৃতির খামখেয়ালিতে কমেছে পদ্মের চাষ! চাহিদা তুঙ্গে, জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চাষিরা