শেষ আপডেট: 29th August 2023 11:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: সামনে বস্তায় বস্তায় মাছ আর মুরগির খাবার। পিছনে সারি সারি রাখা বোমার মশলা (Duttapukur Cracker Godown)। পুলিশ নাকি দেখেও দেখে না। একে বিস্ফোরণের ভয়াবহতা, তায় ঘটনা পরবর্তী পুলিশের (Police) সক্রিয়তা। ক্ষোভে ফুঁসতে ফুঁসতে অভিযোগ করছেন এলাকার মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ আজাদ রহমান বলেন, “সবসময় বাজির মশলা ঢুকত। আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই বারণ করতাম। কিন্তু শুনত না। সেদিনও পুলিশ দরজা ভেঙে ঢুকে বলল, এতো মুরগির খাবার। সামনে মুরগির স্ট্যাম্প মারা। ভিতরে তো বারুদ।”
বিস্ফোরণ কাণ্ডের দু’দিন পর এখনও থমথমে মোচপোল গ্রাম। সেখানে চলছে পুলিশের টহলদারি। একেবারে রাস্তার ধারেই রয়েছে কেরামত আলির এই গোডাউনটি। সেখানে এখনও পড়ে রয়েছে বাজির মশলা। পুলিশ এখনও সেগুলো বাজেয়াপ্ত না করায় ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ।
গ্রামবাসীদের দাবি, পুলিশ সেগুলো মাছ ও মুরগির খাবার বলে এড়িয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবারও গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অ্যাসবেস্টর্সের চাল একটি ইটের ঘেরা ঘরে মুরগির ও মাছের খাবারের বস্তার মধ্যে মজুত করা রয়েছে বিস্ফোরক। বাসিন্দাদের অভিযোগ পুলিশের মদতেই দিনের পর দিন ধরে চলছিল বাজির অবৈধ কারবার। প্রশাসনের একটু নজরদারি থাকলে এড়ানো যেত এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন: মমতার মন্ত্রীকে বোম মারার ঘটনায় গ্রেফতার বাবা, ছেলে ও ভাই মারা গেল দত্তপুকুরের বিস্ফোরণে