শেষ আপডেট: 22nd November 2024 18:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জল যন্ত্রণা থেকে কিছুতেই রেহাই মিলছে না শিলিগুড়িবাসীর। ফের রক্ষণাবেক্ষণের কারণ দেখিয়ে পানীয় জল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা। জল বন্ধ হয়ে পড়ায় নতুন করে সমস্যার শেষ নেই মানুষের। তবে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, জল বন্ধ রাখা হলেও ভয়ের কিছু নেই। ইতিমধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে জলের ট্যাঙ্ক পৌঁছে গিয়েছে বলে খবর। তবে সেই ট্যাঙ্ক পৌঁছলেও তা কতখানি কাজে লাগবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পুরসভার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নতুন জলাধার তৈরির কারণেই এমন সিদ্ধান্ত। পুরনো যে ব্যবস্থা এতদিন ছিল তা নতুন জলাধারের সঙ্গে সংযুক্তিকরণের জন্যই কিছুটা সময় লাগবে। সে কারণেই শুকবার সকাল থেকে জল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব জানিয়েছেন, ‘একটু সমস্যা হবে এটা ঠিক। কিন্তু আগামীদিনে যাতে পরিষেবা আরও ভাল হয়। সেই উদ্দেশে এমন পরিকল্পনা। রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে।’
সূত্রের খবর, আগেই নোটিস দিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত জল সরবরাহ করা হবে জানিয়েছিল পুরসভা। সেই মতো বন্ধ হয়ে যায় জল। শুক্রবারের মতো শনিবারও সারাদিন জল সরবরাহ বন্ধের কথা জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ২৫টি ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
শিলিগুড়িতে জলের সমস্যা নতুন কিছু নয়। এর আগেও একাদিকবার জল না পাওয়ার অভিযোগ তুলে শিলিগুড়িতে অশান্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুরসভার সামনেই মারপট থেকে শুরু করে সবরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও জল যন্ত্রণা মেটেনি। ২০২৪ সালের মে মাসে গজলডোবায় বাঁধ মেরামতের জন্য খুলে দেওয়া হয় তিস্তা ব্যারেজের লক গেট। যার জেরে তিস্তা মহানন্দা খাল শুকিয়ে গিয়েছিল। এরপরই শহর জুড়ে জলসঙ্কট শুরু হলে তৎপর হয় পুরসভা। জলের পাউচ বিলি করে সংকট মোকাবিলার চেষ্টা করা হয়। সেই সঙ্গেই জলের ট্যাঙ্কও বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া হয়।
গত জুন মাসেই মেয়র জানিয়েছিলেন, নদীগুলিতে দূষণ বেড়ে যাওয়ায় জল পরিস্রুত করার প্রক্রিয়া বাধা পাচ্ছে। শিলিগুড়ি শহরকে ঘিরে রাখা নদী মহানন্দা, জোড়াপানি, ফুলেশ্বরী, মতো নদীগুলিকে দূষণ মুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়ার দিকে নজর রাখবে পুরসভা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার তরফে জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হলেও সেই জল ঘোলাটে। পানের অযোগ্য। তাই প্রত্যেকেই সেই জল ফেলে দেন। অভিযোগ উঠতেই শিলিগুড়ি পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম। যোগ দিয়েছিল বিজেপিও।