শেষ আপডেট: 11 September 2023 02:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৃষ্টি হলেও গরম খুব একটা কমেনি দক্ষিণবঙ্গে। এর মধ্যে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো চেপে বসেছে লোডশেডিং। রাজ্যজুড়ে জেলায় জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে (load shedding) নাকাল মানুষজন। লোডশেডিংয়ের জ্বালায় অস্থির।
সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে। চিকিৎসার কাজ করতে গিয়ে ডাক্তার থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বেশ কিছু হাসপাতালে বিকল্প হিসেবে জেনারেটরের (load shedding) ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু, তেল খরচ ও অপারেটর না থাকায় চালানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
বাঁশগড় হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে এখন অভিযোগ তুঙ্গে। রবিবার থেকেই বিক্ষোভ চলছে হাসপাতাল চত্বরে। রোগীর পরিজনরা দাবি করছেন, গর্ভবতী মহিলার প্রসব হচ্ছে মোবাইলের আলোয়। হাসপাতালে জেনারেটরের কোনও ব্যবস্থাই নেই। শৌচালও ব্যবহারের অযোগ্য। কয়েকটি ওয়ার্ডে এবং হাসপাতাল চত্বরে পর্যাপ্ত আলো নেই। তাছাড়া হাসপাতাল থেকে রোগী রেফারের সংখ্যা বেশি। প্রায় প্রতিদিনই ঘণ্টা খানেক ধরে লোডশেডিং (load shedding) চলছে। কারেন্ট বন্ধ হওয়ায় জরুরি বিভাগে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের। গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় লোডশেডিংয়ের কারণে হাসপাতাল অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল। প্রায় চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ আসেনি। ওটি রুমে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা এক প্রসূতির অস্ত্রোপচার মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে করেন। এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে মুখ কুলুপ এঁটেছে।