শেষ আপডেট: 5th October 2020 15:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর নিহত মণীশ শুক্লর দেহ নিয়ে সোজা রাজভবনের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল বিজেপি। তা নিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্রে লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি তৈরি হয় সোমবার ভর সন্ধেবেলা। শেষমেশ গুলি লাগার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর এদিন রাত পৌনে ন'টা নাগাদ মণীশ শুক্লর দেহ পৌঁছল খড়দহের বাড়িতে। তবে তাঁর শেষকৃত্য কখন হবে সে ব্যাপারে রাত পৌনে নটা পর্যন্ত কিছু বলেননি বিজেপি নেতারা। বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের কেউ কেউ বলছেন মঙ্গলবার সকালে শেষকৃত্য হতে পারে মণীশ শুক্লর। অনন্ত পাঁচ থেকে সাত হাজার মানুষ জড়ো হয়েছে নিহত নেতার বাড়ির সামনে। মরদেহের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন মণীশের স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন। পেশায় আইনজীবী মণীশ শুক্লর দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। একজনের বয়স আট বছর, অন্য জনের চার বছর। তাঁরাও বাবার মৃতদেহের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বাড়িতে কিছুক্ষণ দেহ রাখার পর মণীশ যে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন সেই এলাকায় দেহ নিয়ে মিছিল হবে। তারপর রাসমণি ঘাটে শেষকৃত্য হওয়ার কথা। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, মঙ্গলবার সকালে বিপুল জমায়েত করে শোক মিছিলের মাধ্যমে মণীশের দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হবে। তাহলে সারা রাত দেহ কোথায় রাখা থাকবে এ ব্যাপারেও কিছু জানা যায়নি। তবে বিজেপির কয়েক জন নেতার বক্তব্য, শেষকৃত্যের বিষয়টি পরিবারের ইচ্ছা অনুসারেই হবে। রবিবার রাতে আটটা নাগাদ টিটাগড় থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে মণীশকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। বিজেপি ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। মণীশ খুনের কিনারা করতে সিআইডিকে দায়িত্ব দিয়েছে নবান্ন।