শেষ আপডেট: 2nd October 2024 18:07
দ্য় ওয়াল ব্যুরো, দার্জিলিং: স্বাদে গন্ধে দার্জিলিঙের চায়ের সঙ্গে কোনও তুলনাই হয় না, তরাই ডুয়ার্সের চায়ের। তাই বোনাসের ক্ষেত্রেও কোনও সমতা রক্ষা করা যাবে না। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন দার্জিলিং-কার্শিয়াং-কালিম্পঙের চা শ্রমিকরা। প্রথম থেকেই ২০ শতাংশ পুজো বোনাসের দাবিতে অনড় রয়েছে পাহাড়ের চা শ্রমিকরা। ১৬ শতাংশ হারে বোনাসের সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশের পরেও সেই অবস্থান থেকে সরেননি তাঁরা। বুধবার দিনভর চা শ্রমিকদের আন্দোলনে উত্তাল হল পাহাড়।
চা বাগানের আটটি ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ মঞ্চের ডাকে মঙ্গলবার সকালে দার্জিলিংয়ের মল রোড চা শ্রমিকদের মিছিল শুরু হয়। গোটা পাহাড় পরিক্রমা করে এই মিছিল। পাঙখাবাড়ির রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। গরুবাথানেও হয় বিক্ষোভ। পাশাপাশি পাহাড়ের সমস্ত চা বাগানের বাইরে পিকেটিং করেন চা-শ্রমিকরা।
বন্যা পরিস্থিতি দেখতে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবারই উত্তরকন্যায় বৈঠক করেছেন। তাঁর সফরের মাঝেই বোনাসের দাবিতে সোমবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকেন চা শ্রমিকরা। সকাল থেকে জায়গায় জায়গায় শুরু হয় পিকেটিং। পাহাড়ে ওঠা নামার প্রায় সব রাস্তাই বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারী শ্রমিকরা। কার্শিয়াঙে বিক্ষিপ্ত অশান্তিও হয়। কলকাতায় ফেরার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি কোনও বনধ সমর্থন করি না। চা শ্রমিকদের দাবি। লেবার কমিশনের সঙ্গে ট্রায়পাটাইট মিটিং চলছে। ওরাই ডিসাইড করবে।"
এরপরেই মঙ্গলবার শ্রম দফতর, চা বাগানগুলির মালিক পক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পর রাজ্য ১৬ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়ার আবেদন জানাল। প্রকাশ করা হয় নির্দেশিকা। বাগানগুলির আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করার জন্য প্রথম থেকেই রাজ্যকে আবেদন জানিয়ে আসছিল মালিকপক্ষ। এরজন্য ৮.৩৩ শতাংশের বেশি বোনাস দিতে রাজি হচ্ছিলেন না তাঁরা। পাল্টা চাপ রেখে ২০ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়ারও দাবি করছিলেন শ্রমিকরা। এই পরিস্থিতিতেই ১৬ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়ার জন্য আবেদন জানায় রাজ্য। তবে শ্রমিকরা যে তা মেনে নেবে না বুধবার পাহাড় জুড়ে আন্দোলনে সেটাই বুঝিয়ে দিলেন তাঁরা।