শেষ আপডেট: 6th May 2023 09:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: ১২ বছর ক্ষমতায় নেই দল। দ্রুত কমছে চলার পুঁজি। তাই গ্যারেজে থাকা গাড়িগুলি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল সিপিএমের জেলা কমিটি (CPM district committee selling old cars)।
ক্যাডার নির্ভর পার্টি হলেও ক্ষমতা হারানোর পর রোখা যায়নি দলের ভাঙন। অনেকেই দলবদল করে শাসকদলে নাম লিখিয়েছে। অনেকেই সদস্য পদ নবীকরণ না করে বসে গিয়েছেন ঘরে। তাই ১১ সালের পর থেকে একদিকে যেমন দলের সদস্য সংখ্যা হু হু করে কমতে শুরু করে, তেমনি দলের আয়ও কমে যায় অনেক। লেভি সংগ্রহ কার্যত তলানিতে ঠেকে। এরই মধ্যে ২০১৭ সালে জেলা ভাগ হয়। আসানসোল ও দুর্গাপুর অর্থাৎ খনি ও শিল্পাঞ্চল নিয়ে আলাদা জেলা পশ্চিম বর্ধমানের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ফলে সিপিএম পার্টি (CPM Party) লেভি আরও কমে যায়। কারণ অবিভক্ত বর্ধমান জেলার (Bardhaman) সিপিএমের লেভির সিংহভাগ আসতো খনি ও শিল্পাঞ্চল থেকে।
তাছাড়া গত একদশকে বহু স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অধ্যাপক অবসর গ্রহণ করায় আয় আরও কমেছে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে শেষমেশ দলের কার্যালয়ে থাকা ছ’টি চারচাকা গাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (to get money)। ছ’টি চারচাকা গাড়ির মধ্যে তিনটি বড় ও তিনটি ছোট গাড়ি আছে। বর্তমানে যার বাজার মূল্য ২০ লক্ষ টাকা মতো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্টির একজন হোল টাইমার বলেন, “গত কয়েকবছর হল জেলা অফিসে খাবারেও জোর লাগাম টানা হয়েছে। আগে প্রতিদিন ডাল, একটা সবজি, ভাজা, চাটনি রান্না হত। কিন্তু এখন সেখানেও রাশ টানতে বলা হয়েছে। আগে অসময়ের ইচর,পটল বা কপি রান্না হত। এখন সব বন্ধ। আগের মতো আর পাতও পড়ে না।” যদিও সিপিআইএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন এই তথ্য মানতে রাজি নন। তিনি বলেন, “বহু কারণে গাড়িগুলি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনতেই গাড়িগুলি পুরোনো হয়েছে। মেরামতির খরচও বেড়ে গেছে। এতো খরচ বহন করা পার্টির পক্ষে সম্ভব নয়।”
জানা গেছে, গত একদশকে পূর্ব বর্ধমানে পার্টির লেভি সংগ্রহ ৬৫ শতাংশ কমে গেছে। বর্তমানে পার্টির সদস্য সংখ্যা সামান্য হলেও ঊর্ধমুখী। কিন্তু তাতে দলের আয় বাড়েনি। কারণ দলের ছাত্র ও যুবদের মধ্যে অনেকে সদস্যপদ পেলেও তাতে লেভি আদায়ের ক্ষেত্রে লাভ হয়নি। কারণ বেশির ভাগই বেকার ছেলেমেয়ে।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যে নেতা তথা জেলাপরিষদের সহ-সভাপতি দেবু টুডু বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের এতো বড় দল হয়েও কোন সম্পত্তি নেই। কিন্তু সিপিএমের একটি জেলা কমিটির কাছেই রয়েছে ৬টি গাড়ি। এদের আবার গাড়ি বিক্রি করে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিতে হচ্ছে, এটা জনগণকে বোকা বানানো ছাড়া আর কিছুই নয়।”
ডিএর মিছিলে রবি-গান শোনাল তৃণমূল, স্লোগানে পাল্টা জবাব আন্দোলনকারীদের