Exclusive: শিলিগুড়িতে জোট চূড়ান্ত, কলকাতা মডেল খারিজ উত্তরে
শোভন চক্রবর্তী
ফের জোটের পথে শিলিগুড়ি। আসন্ন কর্পোরেশন নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের রাজধানীতে জোট করেই ভোট লড়তে চলেছে বাম ও কংগ্রেস।
গত কয়েক বছরে বাম ও কংগ্রেস একের পর এক ভোটে আগে থেকে জোট করে ধাক্কা খেয়েছে। তাই কলকাতা পুরসভা ভোটের আগে সিপিএম ঠিক
ফের জোটের পথে শিলিগুড়ি। আসন্ন কর্পোরেশন নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের রাজধানীতে জোট করেই ভোট লড়তে চলেছে বাম ও কংগ্রেস।
গত কয়েক বছরে বাম ও কংগ্রেস একের পর এক ভোটে আগে থেকে জোট করে ধাক্কা খেয়েছে। তাই কলকাতা পুরসভা ভোটের আগে সিপিএম ঠিক করেছিল, ভোটের আগের আনুষ্ঠানিক জোট আর নয়। বামেদের যে যে ওয়ার্ডে শক্তি রয়েছে সেখানে ফ্রন্টের প্রার্থী দেওয়া হবে। যেখানে একেবারে নেই সেখানে বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী দলকে সমর্থন করবে। তবে যৌথ মিছিল, সভা—এসবের গাড্ডায় আর পা দেবে না।
তাতে অবশ্য দেখা যায় দু’দলেরই ভোট বেড়েছে। কিন্তু সেই মডেল খারিজ হয়ে যেতে চলেছে শিলিগুড়িতে।
রবিবার বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব একপ্রস্থ বৈঠক করে জোট প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। এখন শুধু আলোচনা চলছে কোন আসনে কে লড়বে এবং কার ভাগে কটা আসন পড়বে তাই নিয়ে।
এদিন দ্য ওয়াল-এর তরফে শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র তথা বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমরা গতকাল একটা মিটিং করেছি। দু’একদিনের মধ্যে সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমরা যৌথ ভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে যা জানাবার জানিয়ে দেব।”
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর মালাকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনে উচ্ছ্বাসের সঙ্গেই বলেন, “জোট হয়ে গেছে। আমরা বামেদের সঙ্গে জোট করেই লড়ব। শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা বাকি।” শঙ্করবাবুও জানিয়েছে, কে ক’টা আসনে লড়বে সেটা দু’একদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।
২০১৫ সালের ভোটে শিলিগুড়িই হয়ে উঠেছিল মডেল। দেখা গিয়েছিল, সব জায়গায় তৃণমূল জয়ডঙ্কা বাজালেও শিলিগুড়িতে হোঁচট খেয়েছে। সেবার অবশ্য ভোটের আগে জোট হয়নি। ৪৭টি আসনের সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছিল বামেরা এবং কংগ্রেস। তবে ভোটের পর বোঝাপড়া করে তৃণমূলকে ঠেকিয়ে দিয়েছিল বাম-কংগ্রেস। মেয়র হয়েছিলেন অশোকবাবু। তবে ছ’বছর আগের শিলিগুড়ির সঙ্গে এখনকার শিলিগুড়ির রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে গেছে। শিলিগুড়ি বিধানসভা আসন জিতেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে এবার তাই আগে থেকেই জোটের পথে হাঁটতে চলেছেন অশোক-শঙ্কররা।