শেষ আপডেট: 6th November 2021 13:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে স্কুল (School) কলেজ বন্ধ করা হয়েছিল। তারপর থেকেই অনিয়মিত হয়ে পড়েছে শিক্ষাব্যবস্থা। অনলাইনে পড়াশোনা চললেও সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল দেওয়ার রীতিতে বদল এসেছে। স্কুল বন্ধ থাকার কারণে আর রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে না মিড ডে মিলে। চাল, ডাল ধরে দিয়ে দেওয়া হয় অভিভাবকদের হাতে। এই ব্যবস্থা আর বেশিদিন চলবে না। সম্প্রতি স্কুল ও মাদ্রাসাগুলিতে মিড ডে মিল নিয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে। বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরে অবিলম্বে স্কুল ও মাদ্রাসা খুলে রান্না করা মিড ডে মিল দিতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে এই বিষয়ে নজর দিতে বলেছে কেন্দ্র। 'প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি নির্মাণ' প্রকল্পের আগের নাম ছিল 'ন্যাশানাল প্রোগ্রাম ফর মিড ডে মিল ইন স্কুলস'। এই প্রকল্পের আওতায় এদিন মিড ডে মিলের একাধিক খাতে অর্থ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। শিক্ষা মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যাচ্ছে, চাল ডাল, তেল-সহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী, রান্নার খরচ, পরিচালনা ও পরিবহণের খরচ ইত্যদি বিভিন্ন খাতে হিসেব অন্যযায়ী অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়ারা যাতে অবিলম্বে রান্না করা মিড ডে মিল পায়, সেই ব্যবস্থা করতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিসট্রেসের রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতির বক্তব্য, কেন্দ্রের নির্দেশকে বাস্তবায়িত করার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে। আর দেরি না করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে ও উদ্যোগ নিতে হবে। এমন বহু শিশু এ রাজ্যে আছে যারা সরকারি এই মিড ডে মিলের খাবারের উপর নির্ভর করে থাকে। তাদের অনেক কষ্টে দিন যাপন করতে হচ্ছে। বহু শিশু মানসিক অসুস্থতা ও অপুষ্টিতে ভুগবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চন্দন মাইতি। বাংলায় ১৬ তারিখ থেকে স্কুল খুলে যাবে, ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই রান্না করা মিড ডে মিল দেওয়া শুরু হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।